কুমিল্লায় সবাইকে 'দৌড়ের ওপর' রাখছেন স্মিথ!
দুই দিন আগেই এসেছেন দলে, বিপিএলে প্রথমবারের মতো নেমে অধিনায়কের দায়িত্বও পড়েছে তাঁর কাঁধে। স্টিভেন স্মিথের অধিনায়কত্বের মেধার প্রমাণ পাওয়া গেছে আজকের ম্যাচেও, সিলেট সিক্সারসের ম্যাচে ১২৭ রানে আটকে রাখতে তাঁর ভূমিকাও আছে। ম্যাচ শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বললেন, স্মিথ আক্ষরিক অর্থেই সবাইকে ‘দৌড়ের ওপর রাখছেন।’
স্মিথ নিজে দারুণ পরিশ্রমী, সেই ছাপ পাওয়া যায় তাঁর ব্যাটিংয়েও। টি-টোয়েন্টির আয়েশী বিছানায় এসেও গা এলিয়ে দেননি। সালাহউদ্দিন নিজেই তাঁর সাক্ষী, ‘তামিমের খুব কষ্ট হয়েছে আজকে। ও আমাকে বলেছে,‘স্যার ও আমাকে এতো দৌড়াচ্ছে!’ সবাইকে ও খুব ইনভলভ রাখছে। এটা খুব ইতিবাচক। ছেলেদের কষ্ট হবে বুঝতে পারছি এখনই। যারা ভালো ফিল্ডার বাইরে তাদের অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। ও অনেক বেশি অভিজ্ঞ। পাশাপাশি এ টুর্নামেন্টে ভালো খেলার জন্য ও নিজেও বেশ উৎগ্রীব আছে। সব দিক মিলিয়ে আমাদের নিজেদের ওর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। তাকেও মানিয়ে নিতে হবে। এটা আমরা যত দ্রুত সম্ভব ও তাড়াতাড়ি করতে পারব ততো দলের জন্য ভালো হবে।’
স্মিথের কাছ থেকে অবশ্য এটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে একটু হলেও অপ্রত্যাশিত ছিল শহীদ আফ্রিদির কাছ থেকে। আফ্রিদি যখন মাঠে নেমেছিলেন, ৩৪ বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের দরকার ছিল ৪৫ রান। তামিম ইকবাল ছিলেন তখনও, কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি হয়ে গেলেন রান আউট। তখনও ২১ বলে ৩১ রান দরকার ছিল কুমিল্লার, শেষ পর্যন্ত আফ্রিদি একাই নিজ কাঁধে তুলে নিলেন দায়িত্ব। ২৫ বলে ৩৯ রান করে দলকে জিতিয়েই ছেড়েছেন মাঠ। ম্যাচ শেষে কুমিল্লা কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন নিজেও মানলেন, আফ্রিদির কাছ থেকে অমন দায়িত্বশীল ব্যাটিং তিনি আশা করেননি।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বকালের সেরাদের একজন হলেও আফ্রিদি সেরা সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন আগেই। টি-টেনে অবশ্য এক ম্যাচ আগেই খেলেছিলেন ৫৯ রানের ইনিংস। তবে আজকের স্লথ উইকেটে যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে এনেছেন, তাতে অবাক কুমিল্লা কোচও, ‘টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে আসলে প্রতিটি দলই নার্ভাস থাকে। আমরাও নার্ভাস ছিলাম এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আফ্রিদি এতোটা দায়িত্ব নিয়ে খেলবে এটা কখনোই ভাবিনি। আমার মনে হয় ও অনেক অভিজ্ঞ পাশাপাশি ও নিজেও সেদিন বলছিল এখন সে ব্যাটিং অনেক সেনসিবল করে। আশা করবো আফ্রিদি পুরো টুর্নামেন্টে এভাবে সেনসিবল খেলবে।’
এমন উইকেটে খেলে আসলে টি-টোয়েন্টি কতটা লাভ হয় এমন প্রশ্নও উঠেছিল সালাহউদ্দিনের কাছে। কুমিল্লার কোচ উত্তরে যা বললেন, বিপিএলের কর্তাব্যক্তিদের তাতে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই, ‘বড় করে বললে..বাংলাদেশে আসলে টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় বের হয় না কারণ আমরা সব উইকেটে শটস খেলতে পারি না। শটস খেলা যখন লিমিটেড হয়ে যাবে তখন টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় বের করা কঠিন হয়ে যাবে। এ কারণে ভালো উইকেট পাওয়া সবার জন্য জরুরী। যেহেতু সময় পেয়েছিল। প্রথম দুটি দিনের জন্য একটু ভালো উইকেট আশা করতেই পারি।