• সিরি আ
  • " />

     

    বর্ণবাদ নিয়ে এবার গুরুতর অভিযোগ এতোর

    বর্ণবাদ নিয়ে এবার গুরুতর অভিযোগ এতোর    

    গত বছরের শেষদিকে সান সিরোতে ইন্টার মিলান ও নাপোলির ম্যাচে বর্ণবাদের শিকার হতে হয়েছিল সেনেগালিজ ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালিকে। ঐ ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার আগ পর্যন্ত কুলিবালিকে 'বানর' বলে ভর্ৎসনা করেছিল ইন্টার সমর্থকেরা- এমন অভিযোগ করেছিলেন নাপোলি কোচ কার্লো আনচেলত্তি। নতুন বছর শুরু হতে না হতেই আবারও আলোচনায় ফুটবলে বর্ণবাদ।এবার অভিযোগটা করেছেন ক্যামেরুনের কিংবদন্তী স্ট্রাইকার স্যামুয়েল এতো। কৃষ্ণবর্ণের কোচদের প্রতি অনাস্থার সাথে তাদের 'দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক' হিসেবে দেখা হয়- এমনটাই মানেন বার্সেলোনা এবং ইন্টার মিলানের সাবেক স্ট্রাইকার।

     

     

    স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ক্যানাল প্লাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্ণবাদের প্রতি নিজের ক্ষোভটাই উগড়ে দিয়েছেন এতো, "সাবেক অনেক কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারকেই কোচিং লাইসেন্স দেওয়া হয় না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমাদের (কৃষ্ণাঙ্গ) মধ্যে অনেকেরই লাইসেন্স আছে। কিন্তু কৃষ্ণবর্ণের ফুটবলারদের প্রতি আস্থার একটা অভাব আছে সবারই বলে আমি মনে করি। আমাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। কালিদুর সাথে সিরি আ-তে যা হয়েছে, তা-ই এসবের প্রমাণ।" 

     

     

    কুলিবালির সেই বর্ণবাদের ঘটনার পর সতীর্থ থেকে শুরু থেকে ইন্টারের অধিনায়ক মাউরো ইকার্দি পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁকে। অন্তিম মুহূর্তে গোল খেয়ে হারলেও কুলিবালির ঘটনাটি নিয়েই বেশি চটেছিলেন আনচেলত্তি, "আমরা রেফারিকে তিনবার খেলা থামানোর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। এমনকি স্টেডিয়ামের মাইকেও তা ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকে আমরা নিজেরাই খেলা থামিয়ে মাঠ ছাড়তে প্রস্তুত থাকব। ওয়াক-ওভার দিয়ে আমাদের হারিয়ে দিলেও সমস্যা নেই তাতে। ফুটবলে বর্ণবাদের কোনও স্থান নেই। আমরা কোনওভাবেই এসব মেনে নিব না।"