• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    হেসুসের জোড়া গোলে সিটির জয়রথ ছুটছেই

    হেসুসের জোড়া গোলে সিটির জয়রথ ছুটছেই    

    শেষ দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে সব মিলিয়ে ১৬ বার বল জড়িয়েছিলেন তারা। উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে তেমন গোলউৎসব না করতে পারলেও জয়টা ঠিকই পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদে গ্যাব্রিয়েল হেসুসের জোড়া গোলে উলভসকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে লিভারপুলের সাথে পয়েন্টের ব্যবধানটা চারে নামিয়ে আনল সিটি।

    বুরটনের বিপক্ষে আগে ম্যাচে হেসুস করেছিলেন চার গোল। কালও সিটিকে এগিয়ে দিয়েছেন তিনিই। ১০ মিনিটের মাথায় লেরয় সানের বাড়ান বলে বক্সের ভেতর বল পান হেসুস। তাঁর ডান পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি রুই প্যাট্রিসিও। ১৬ মিনিটে ডেভিড সিলভার শট বাঁচিয়ে দেন উলভস গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর বড় ধাক্কা খায় উলভস, বেনার্দো সিলভাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন উইলি বোলি। ২০১২ সালের পর এই প্রথম লিগে কোনো উলভস ফুটবলার লাল কার্ড দেখলেন।

    দশ জনের দলে পরিণত হওয়া উলভস ৩৯ মিনিটে হজম করে দ্বিতীয় গোল। রহিম স্টার্লিংকে রায়ান বেনেট বক্সের ভেতর ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন হেসুস। বিরতির ঠিক আগে স্টার্লিংয়ের শট প্যাট্রিসিও দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধান আরও বাড়ত।

    দ্বিতীয়ার্ধেও উলভস রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রেখেছেন সিটি ফরোয়ার্ডরা। প্যাট্রিসিওর কল্যাণে বহুবার গোল হজম করা থেকে বেঁচে গেছে উলভস। ৫৪ মিনিটে ফার্নানদিনহোর শট ঠেকিয়ে দেন প্যাট্রিসিও। পরের মিনিটেই কাইল ওয়াকারকে হতাশ করেন তিনি। ৬৯ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো স্টার্লিংয়ের শট ঠেকিয়ে দেন প্যাট্রিসিও। ৭৭ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনও পেরোতে পারেননি প্যাট্রিসিও বাধা। পরের মিনিটে অবশ্য আত্মঘাতী গোল করে প্যাট্রিসিওকে হতাশায় ডোবান সতীর্থ কনর কোডি। ৯২ মিনিটে ইকায় গুন্ডোয়ানের শট প্যাট্রিসিও ঠেকিয়ে দিলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটিজেনরা। ২০১২ সালের পর এই প্রথম কোনো লিগ ম্যাচে একটিও শটস অন টার্গেট ছিল না উলভসের।

    এই জয়ে ২২ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সিটি। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৭।