'টি-টোয়েন্টিতে অসম্ভব কিছু নেই'
প্রথম চার ম্যাচ হেরে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল খুলনা টাইটানস। অবশেষে সিলেট পর্বে এসে ঘুরে দাঁড়াতে পারল, রাজশাহী কিংসকে ২৫ রানে হারিয়ে খুলনা টাইটান্স পেল এবারের বিপিএলে প্রথম জয়। ম্যাচসেরা তাইজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, এখান থেকে সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন এখন তারা দেখতেই পারেন।
কাজ যাদের হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে, খুলনা চাইলে সেই রাজশাহী থেকেই প্রেরণা নিতে পারে। দুই বছর আগে প্রথম চার ম্যাচ হেরেও রাজশাহী কিংস উঠেছিল ফাইনালে। তাইজুল এখন সেই স্বপ্নই দেখছেন, ‘এখনো আমাদের সাতটা ম্যাচ আছে। সাতটা ম্যাচের মধ্যে চারটা কিংবা পাঁচটা জিততে পারি তাহলে আমাদের সেরা চারে খেলার সুযোগ থাকবে। টি-টোয়েন্টিতে অসম্ভব কিছু না। আমরা সেরা চারে খেলার লক্ষ্য নিয়েই খেলছি।’
এই কয়েক ম্যাচ হারের পর চাপটা কতটা বেশি ছিল? তাইজুল বলছেন, ক্রিকেট সবসময়ই চাপের খেলা, ‘ক্রিকেট সব সময় চাপের খেলা। আমরা যেহেতু টানা চারটি ম্যাচ হেরেছে, খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম। চাপটা অনেক বেশি থাকে। তারপরও আমাদের অফিসিয়াল বলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট বলেন সবাই আমাদের সাপোর্ট দিয়েছেন। আমাদের ভেঙ্গে পড়তে বারন করেছেন। টিমমেট এক জন আরেকজনকে হেল্প করেছে। সবমিলিয়ে আমরা অতোটা আত্মবিশ্বাসহীনতা ভুগিনি, যে আমরা জিতবো না।’
কিন্তু এই উইকেট ব্যাট করার জন্য কতটা ভালো? তাইজুল বললেন, উইকেট থেকে বেশ টার্ন মিলছিল, ‘প্রথম থেকেই ব্যাটিং করার জন্য উইকেটটা সুবিধাজনক ছিল না। বোলাদের সুবিধাজনক উইকেটই ছিল। স্পিন কিংবা কাটার ধরছিল উইকেটে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সময়ই বুঝতে পেরেছিল, উইকেট ব্যাটিং করার জন্য কঠিন ছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল স্কোরবোর্ডে যতখানি সম্ভব রান জমা করা। হয়তোবা দ্বিতীয় ইনিংসেও আরও কঠিন হবে ব্যাটিং করা। আমাদের বোলাররা শুরু থেকেই পরিকল্পনা মতো বোলিং করেছে।’
তাইজুল নিজের বল নিয়েও আজ সন্তুষ্ট হতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে সেভাবে সুযোগ না পেলেও আজ ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচস্রেয়া। এটাই তাঁর সেরা বোলিং কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তাইজুল দিলেন মোক্ষম আর্মার, ‘ক্যারিয়ার তো এখনও পড়েই আছে।’