• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    "রোনালদো বদলে দিয়েছে জুভেন্টাসকে"

    "রোনালদো বদলে দিয়েছে জুভেন্টাসকে"    

    দলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সংযোজন জুভেন্টাসকে সত্যিকার অর্থে চ্যাম্পিয়নস লিগের দাবিদার করেছে বলে মনে করেন জর্জিও কিয়েলিনি। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জুভেন্টাসের কিংবদন্তী ডিফেন্ডার আরও জানিয়েছেন রোনালদোর দলে আসার কথা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। 

    গ্রীষ্মের দলবদলের মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে জুভেন্টাসে গেছেন পর্তুগাল অধিনায়ক। সিরি আতে ১৯ ম্যাচে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ১৪ গোল। ৩৪ বছর বয়সী কিয়েলিনি বলছেন, রোনালদো জুভেন্টাসে এসে দলের চেহারাও বদলে দিয়েছেন।

    "আমি প্রথমে ব্যাপারটা বিশ্বাস করিনি। পরে যখন দেখলাম গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলছে তখন আমি জুভেন্টাস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বললাম। আমার জন্য ব্যাপারটা চমকই ছিল। আমার ধারণা খেলোয়াড় আর সমর্থকদের জন্যও এই দলবদলটা সাধারণ কোনো ঘটনা ছিল না।"

    সবশেষ ১৯৯৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল জুভেন্টাস। শেষ চার মৌসুমে দুইবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা ধরা দেয়নি তুরিনের বুড়িদের কাছে। শেষবার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছিল জুভেন্টাস, সে ফাইনালে রোনালদো করেছিলেন জোড়া গোল। এখন জুভেন্টাসেও রোনালদো একই কাজটা করবেন বলে প্রত্যাশা কিয়েলিনির।



    "রোনালদো বারবার আমাদের বিপক্ষে গোল করে আমার স্বপ্ন ভেঙ্গেছে- মিলানে, কার্ডিফে, তুরিনে।"

    "এতোদিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা ছিল স্বপ্ন। এখন এটা আমাদের লক্ষ্য। কারণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিশ্বের সেরা ফুটবলার, সে এখন আমাদের। ফাইনাল স্টেপটা তাকেই নিতে হবে।"

    ক্লাবে এসে রোনালদো দলের চেহারাও পালটে দিয়েছেন বলেই জানাচ্ছেন তিনি, "রোনালদোর ব্যক্তিত্বটাই প্রভাব ফেলছে দলে। মাঠে তার স্কিল তো আছেই, কিন্তু মাঠের বাইরেও সে অসাধারণ। সে যেভাবে প্রস্তুতি নেয়, অনুশীলন করে; তার জীবনাচরণ- সবকিছুই অনুসরণীয়। এগুলোই দলের চেহারা পালটে দিয়েছে।"

    "শুরুতে আমার ওকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করার ইচ্ছা ছিল। রোনালদো যেভাবে জিম করে, অনুশীলন করে সেখান থেকে আমি নিজেও শিখতে চেষ্টা করি।"  

    চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। কিয়েলিনির চোখে জুভেন্টাসের সঙ্গে  এবারের আসরের ফেভারিট দল বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটি। পিএসজি আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকেও সেই তালিকায় রাখছেন কিয়েলিনি।