২০০ পেরুনো চিটাগংয়ের কাছে পাত্তা পেল না খুলনা
চিটাগং ভাইকিংস ২১৪/৪, ২০ ওভার (ইয়াসির ৫৪, মুশফিক ৫২, শনাকা ৪২, ভিসে ২/২৬)
খুলনা টাইটানস ১৮৮/৮, ২০ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৫০, ভিসে ৪০, আবু জায়েদ ৩/৩৩, ডেলপোর্ট ২/২৯)
চিটাগং ২৬ রানে জয়ী
বিপিএলের এ মৌসুমের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে খুলনা টাটানসকে পাত্তা দেয়নি চিটাগং ভাইকিংস। সিলেট পর্ব চিটাগং শেষ করলো জয় দিয়েই। এটি দিয়ে ৫ ম্যাচে চতুর্থ জয় পেল চিটাগং। পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে তারা। আর খুলনা ৭ম ম্যাচে ছয়টিতেই হেরে টেবিলের তলানীতেই তারা।
প্রথমে ব্যাটিং করে শাহজাদের ১৭ বলে ৪৩, ইয়াসিরের ৩৬ বলে ৫৪, মুশফিকের ৩৩ বলে ৫২, শনাকার ১৭ বলে ৪২ রানের সঙ্গে জাদরানের ৬ বলে ১৬- চিটাগং ভাইকিংস ব্যাটসম্যানরা তুলেছিলেন ঝড়। শুরুর দিকে ক্যামেরন ডেলপোর্টের পর পাওয়ারপ্লের শেষ বলে শাহজাদের উইকেট হারালেও চিটাগং তুলেছিল ৫৬ রান। সেটিও ছাপিয়ে গেছে শেষের ঝড়, শেষ ৫ ওভারে উঠেছে ৭২ রান।
খুলনা খেই হারিয়েছিল শুরুতেই, ১৮ রানের মাঝেই পল স্টার্লিং, আল-আমিন ও জুনাইদ সিদ্দিকের উইকেট হারিয়ে। ব্রেন্ডন টেইলর ও মাহমুদউল্লাহর জুটির অসম্ভব স্বপ্ন দেখাচ্ছিল খুলনাকে, শেষ পর্যন্ত যেটা বাস্তব হয়নি। ডেভিড ভিসের ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংসও পার্থক্য গড়তে পারেনি, খুলনা থেমেছে ১৮৮ রানেই।
“ওগো বিদেশিনী”
৭ ম্যাচে খুলনার বিদেশী ক্রিকেটারদের কম্বিনেশনটা এমন-
স্টার্লিং, আলি খান, ব্রাথওয়েট, জাহির খান
স্টার্লিং, আলি, ভিসে, জাহির
স্টার্লিং, মালান, ভিসে, জাহির
স্টার্লিং, মালান, ব্রাথওয়েট, জুনাইদ
ভিসে, মালান, ব্রাথওয়েট, জুনাইদ
মালিঙ্গা, মালান, ব্রাথওয়েট, জুনাইদ
স্টার্লিং, মালিঙ্গা, ভিসে, টেইলর
এর মাঝে আলি খানের বিপিএল চোটের কারণে শেষ হয়ে গেছে দ্বিতীয় ম্যাচেই, তার জায়গায় এসেছেন জুনাইদ খান। এরপর যোগ দিয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। আজ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলেন ব্রেন্ডন টেইলর। এর মাঝে খুলনা যে এক ম্যাচ জিতেছে, তাতে খেলেছিলেন- ভিসে, মালান, ব্রাথওয়েট ও জুনাইদ।
রেকর্ড স্কোর
এদিনই বিপিএলের এ মৌসুমের সর্বোচ্চ স্কোরটা গড়েছিল সিলেট সিক্সারস। সেটা টপকে ম্যাচ জিতেছে রংপুর রাইডার্স। তবে দুই দলকেই ছাপিয়ে গেল চিটাগং ভাইকিংস, বিপিএলের এ মৌসুমে প্রথম ২০০ বা এর বেশ স্কোরটা গড়ে। বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে চিটাগংয়ের এ স্কোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২১৭ রান তুলেছিল ঢাকার তখনকার দল গ্ল্যাডিয়েটরসরা। সব মিলিয়ে বিপিএলে এটি ১৫তম বার দলীয় স্কোর ২০০ বা এর বেশি হলো।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর বৈপরীত্য
২৫, ৫, ৩৪, ৭৫ এর পর ৫২। মুশফিকুর রহিমের বিপিএলটা দারুণই যাচ্ছে। সে তুলনায় ব্যাটিংয়ে বেশ নিস্প্রভই ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ২৪, ৮, ১১, ৩৩, ৯, ১৬ রানের ইনিংস নিয়ে। এদিন ঝড়ো ইনিংস খেললেন তিনিও, করলেন ফিফটি। তবে থামলেনও সেখানেই, ২৬ বলে ৫০ রান করেই। অধিনায়ক হিসেবেও দুজনের বৈপরীত্যের মাত্রাটা বাড়লো- মুশফিকের দল হেরেছে একটিতে, মাহমুদউল্লাহর দল জিতেছে মাত্র একটি।