• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    দোষটা মূলত আমার : মাহমুদউল্লাহ

    দোষটা মূলত আমার : মাহমুদউল্লাহ    

    আট ম্যাচে এক জয়, খুলনার অবস্থা সুবিধার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ। কাগজে-কলমে এখনও টিকে আছে অবশ্য তারা শেষ চারের লড়াইয়ে। তবে ৮ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট তাদেরকে আশা জোগাচ্ছে না খুব একটা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যেমন ধরেই নিয়েছেন, বিপিএল-আশা শেষ তাদের। বিপিএলে খুলনার ব্যর্থতার দায়টা নিজের কাঁধে নিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার মতে, দলটা ভাল হলেও তার ‘দোষেই’ ভাল করতে পারেনি দল। নিজের খেলা কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়নি বলেও ধারণা তার। 

     

     

    এদিন রংপুরের বিপক্ষে ১৮১ রানের সম্বলও যথেষ্ট হয়নি খুলনার। ধাপে ধাপে অ্যালেক্স হেলস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলরা পিষ্ট করেছেন খুলনাকে। মাহমুদউল্লাহ বলছেন, দ্রুত উইকেট দরকার ছিল তাদের, “ব্যাটসম্যানরা আজকে ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন ১৮০ রান, আমি আর শান্ত যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন অন্তত এতো সহজ উইকেট মনে হয়নি আমার কাছে। কারণ ব্যাক অফ আ লেংথের বলগুলো থেমে থেমে আসছিল। এই কারণে ১৮০ রান হওয়াতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, বোলাররা শুরুতে উইকেট নিতে পারলে খেলা আমাদের দিকে আসতে পারে। দূর্ভাগ্যবশত আমরা দ্রুত উইকেট নিতে পারিনি। 

    “ওদের হেভি ব্যাটিং লাইনআপ। সব বড় বড় তারকারা আছে। দিনশেষে ওটাই হয়েছে। ক্রিস সাধারণত এই ধরনের ব্যাটিং করে না আজকে যেটা করেছে। আজকে ১৮-১৯ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেছে। হয়তবা ক্রিসের উইকেটটা আমরা নিতে পারলে ম্যাচের ভিন্ন রেজাল্ট হতে পারতো। আমি চাচ্ছিলাম কিছু রান হলেও তার উইকেট বের করতে চাইছিলাম, কিন্তু কোনো সুযোগ আমরা বের করতে পারিনি।”

     

    খুলনার আরেকটি উইকেট, উচ্ছ্বসিত রংপুর/বিসিবি

     

    রংপুরের চারজন বিদেশী, চারজনই টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান। খুলনার বিদেশী ক্রিকেটারদের দিকে তাকালে অবশ্য একটা ব্যাপার পরিস্কার, দল নির্বাচন নিয়ে বশ ভুগেছে তারা। এখন পর্যন্ত টানা দুই ম্যাচে বিদেশীদের একই কম্বিনেশন ধরে রাখতে পারেনি তারা, সর্বশেষ যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ। মাহমুদউল্লাহ বলছেন, সব বিভাগ মিলিয়েও কম্বিনেশনটা “ক্লিক” করেনি তাদের, “আমি যত বছর বিপিএল খেলছি, এতো বড় তারকার দল নিয়ে খেলিনি। সব সময় ‘অ্যাভারেজ’ দল নিয়ে খেলেছি। আমাদের দলে এবার বিদেশি, দেশি মিলিয়ে দারুণ কিছু খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত কোন বিভাগই একসঙ্গে ক্লিক করেনি। ব্যাটিং ভালো হলে বোলিং ভালো হয়নি, বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং ভালো হয়নি। এই কারণেই আমরা (কাঙ্খিত) ফলটা পাইনি।”

    “আমি এটা মনে করিনি, এরচেয়ে হয়তো খারাপ (কাগজে-কলমে) দল নিয়েও আমরা ভালো খেলেছি।  কিন্তু এবার এর চেয়ে ভালো দল নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমরা ফল পাইনি। আপনারা হয়তো কাগজে-কলমে খুলনাকে এগিয়ে না রাখলেও আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই দলটির সেরা চারে খেলার সম্ভাবনা ছিল। আমি হয়তো ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে পারিনি, ফ্র্যাইঞ্চাজি যতখানি আশা করেছে আমার কাছ থেকে আমি দিতে পারিনি। দোষটা মূলত আমার।”

    এই পরিস্থিতিটা তার কাছে নতুনও মনে হচ্ছে, “আমার ক্যারিয়ারের যতগুলো ফ্র্যাইঞ্চাজি লিগ খেলেছি এখন পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাইনি। এখান থেকে হয়তো অনেক কিছু শিখতে পারবো। আশা করি পরবর্তী সময়ে এগুলো মাথায় রেখে আরও ভালো খেলতে পারি। আমার জন্য এবং দলের জন্য এটা কঠিন একটা সময়। এই সময় অনেকে অনেকে ধরনের কথা বলবে এটাইতো স্বাভাবিক।  এখন যেহেতু আমাদের সেরা চারে উঠার সুযোগ নেই (সেভাবে)। এখন বাকি ম্যাচগুলো আমরা আমাদের দলের জন্য এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য খেলি।”