দোষ মেনে নিলেন রোনালদো
রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময় থেকে ট্যাক্সজনিত ঝামেলা যেন তার নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রায় প্রতি মাসেই আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে পর্তুগিজ অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। অবশেষে প্রায় পাঁচ বছর পর করফাঁকি দেওয়ার কথা মেনে নিলেন রোনালদো। প্রায় ১৮.৮ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দেওয়ার এবং ২৩ মাস জেল খাটার জন্য রাজি হয়েছেন তিনি। মাদ্রিদের এক আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন 'সিআর৭'।
জেল হওয়ার রায় হলেও রোনালদোকে কারাগারের পেছনে যেতে হচ্ছে না। কারণ স্পেনের আইন অনুযায়ী, দুই বছরের নিচে কারাদণ্ড পাওয়া কাউকেই জেলে যেতে হয় না। এতদিন স্কাইপ বা ভিডিও কলে সাক্ষ্য দিয়ে এসেছেন রোনালদো। কিন্তু আজ আদালতের নির্দেশে সশরীরেই উপস্থিত থাকতে হয়েছে তাকে। সহধর্মিনী জর্জিনা রড্রিগেজের সাথে হাস্যোজ্জ্বল ভাবেই আদালতে ঢুকতে দেখা গেছে রোনালদোকে। মাত্র প্রায় মিনিট বিশেক স্থায়ী হওয়া রায়ে প্রসিকিউটরদের সব দাবিই মেনে নিয়েছেন তিনি। তাদের মতে, রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময় ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কোনও প্রকার কর দেননি রোনালদো। ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করেছেন রোনালদো- দাবি আদালতের। সেই সাথে অবৈধ এক পদ্ধতিতে তার ইমেজ সত্ত্বা থেকে আয়কৃত অর্থের হিসেব জেনেশুনেই লুকিয়েছিলেন রোনালদো- অভিযোগ উঠেছিল এমনও। তবে রোনালদো পক্ষের আইনজীবীদের মতে, মূলত এক ভুল বুঝাবুঝির কারণেই এমনটা হয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ক্রীড়াব্যক্তিত্ব রোনালদো, তার বার্ষিক আয় প্রায় ৯৫ মিলিয়ন ইউরো।
জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম মৌসুমের মাঝপথে এসেই এই মাসে প্রথম শিরোপা (ইতালিয়ান সুপারকাপ) ঘরে তুলেছেন রোনালদো। মাঠে ফর্মটা আগের মতই দারুণ হলেও মাঠের বাইরে বেশ বিতর্কের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকার সময় এক হোটেলের কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিল তার ওপর। সেই মামলার কার্যাদি এখনও চলমান।