টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ চেলসি
টাইব্রেকারে টটেনহামকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি
টাইব্রেকারে টটেনহাম হটস্পারকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কারাবাও কাপের ফাইনালে উঠেছে চেলসি। ২৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলির ফাইনালে তাই ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ মরিজিও সারির দল। আগের দিনই ফাইনালে নিজেদের জায়গায় নিশ্চিত করেছিল সিটি।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। এক গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামা চেলসি প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল দুই গোলে। এনগোলো কান্তের ২০ গজ দূর থেকে শটে করা গোলে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফিরেছিল ম্যাচ। ৩৮ মিনিটে সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রস থেকে তীক্ষ্ণ ফিনিশে গোল করে চেলসিকে এগিয়েও দিয়েছিলেন এডেন হ্যাজার্ড।
হ্যারি কেইন, ডেলে আলি, হিউ মিন সনদের ছাড়া খেলতে নামা টটেনহাম শুরু থেকেই ধুঁকছিল চেলসির মাঠে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফার্নান্দো ইয়োরেন্তের কল্যাণে খেলা গড়ায় টাইব্রেকার পর্যন্ত। ৫০ মিনিটে ড্যানি রোজের ক্রসকে গোলে পরিণত করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
পরে দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ এ নির্ধারিত সময় শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই নায়ক কেপা আরিজাবালাগা। প্রথম দুই কিক থেকে দুই দলই গোল করেছিল। টটেনহামের এরিক ডায়ার মেরেছিলেন ওপর দিয়ে। আর লুকাস মৌরার নেওয়া চতুর্থ শটটি দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন কেপা। পরে ডেভিড লুইজ সফল স্পটকিক নিয়ে নিশ্চিত করেন চেলসির জয়। এই নিয়ে গত ১৬ বছরে ১৫ বারের মতো ফাইনালে উঠল চেলসি।
রামোসের জোড়া গোলে সেমির পথে রিয়াল
কোপা ডেল রে বার্সেলোনার মতো পরিণতি হয়নি রিয়ালের। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালকে ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল জিরোনা। ৭ মিনিটে রিয়ালকে চমকে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল তারাই। অবশ্য ১৮ মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরান লুকাস ভাসকেজে। এরপর সার্জিও রামোসের পেনাল্টিতে করা গোলে প্রথমার্ধ শেষের আগেই স্বস্তিতে ফিরেছিল রিয়াল। পেনাল্টি থেকে আরও একবার পানেনকা মেরেই সফল হয়েছেন রামোস। এই নিয়ে চলতি মৌসুমে রামোসের নেওয়া ৭ টি পেনাল্টিই পরিণত হলো গোলে।
কিন্তু ৬৬ মিনিটে উলটো জিরোনাকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিয়ে বিপদও ডেকে এনেছিল লস ব্ল্যাংকোসরা। অ্যালেক্স গ্রানেল ম্যাচের স্কোরলাইন ২-২ করেন স্পটকিক থেকে গোল করে। পরে সেই সার্জিও রামোসেই উদ্ধার হয় রিয়াল। হেডে গোল করে ৭৭ মিনিটে অধিনায়কই এগিয়ে নেন দলকে। এর ৩ মিনিট পর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান ৪-২ করেন করিম বেনজেমা।