• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    নিউক্যাসেলের কাছে হেরে সিটির শিরোপা স্বপ্নে আঘাত

    নিউক্যাসেলের কাছে হেরে সিটির শিরোপা স্বপ্নে আঘাত    

    এই হারের মাশুল কতো বড় হতে পারে? পেপ গার্দিওলার অভিব্যক্তি বলছে এরপর শিরোপা জিততে হলে নাটকীয় পরিবর্তনই দরকার তার। লিভারপুল যখন ছুটছে তখন মৌসুমের চতুর্থ হারের পর সেটা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিউক্যাসেলের কাছে ২-১ গোলে হেরে লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে ১ এ আনা হয়নি ম্যানচেস্টার সিটির।  সাবেক লিভারপুল ম্যানেজার রাফায়েল বেনিটেজই সিটিকে হারিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিলেন অলরেডদের। লেস্টার সিটির সঙ্গে ঘরের মাঠে জিতে গেলে সমান ম্যাচে লিভারপুলের শীর্ষস্থানে লিড দাঁড়াবে ৭ এ। বেনিটেজ তাই একরকম উপহারই দিলেন লিভারপুলকে! 

    সেন্ট জেমস পার্কে অবশ্য শুরুটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না সিটির। ২৪ সেকেন্ডেই সিটিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। ডানদিক থেকে আসা ক্রসে কোনোমতে হেড করে আগুয়েরোরের উদ্দেশ্যে বল বাড়িয়েছিলেন ডেভিড সিলভা। পরে বাম পায়ের ফিনিশে বাকি কাজ সেরেছেন আগুয়েরো। ১৬ মিনিটে অবশ্য দ্বিতীয় গোলটাও পেয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইন রেফারির বাঁশি বাজার আগেই ফ্রি কিক নিয়ে পরে দেখেন হলুদ কার্ড, আর বাতিল হয় আগুয়েরোর সেই গোলও। 

     



    শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য ধীরে ধীরে ধার কমতে থাকে সিটির। প্রথমার্ধে আর সেভাবে নিউক্যাসেলকে বিপদে ফেলতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিরয় সানের ক্রস থেকে সহজ ট্যাপ ইন মিস করেন রাহিম স্টার্লিং। ৫৮ মিনিটে ডেভিড সিলভার শটও ঠেকিয়ে দেন ম্যাগপাইদের গোলরক্ষক। ম্যাচের প্রায় ঘন্টাখানেক সিটিকে এক গোলে আটকে রেখে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে রাফায়েল বেনিটেজের দলেরও।

    ৬৬ মিনিটে অনেকটা এলোমেলো আক্রমণ থেকে কাঙ্খিত গোলটাও পেয়ে যায় তারা। সলেমন রন্ডন উড়ে আসা বলে শট করে সেন্ট জেমস পার্কে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন। চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ড্রটাও নিউক্যাসেলের জন্য হতে পারত জয়ের সমান। কিন্তু এরপর ঘরের সমর্থকদের রাতটা আরও রাঙিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেই যায় নিউক্যাসেল।

    আক্রমণে যখন দল ধুঁকছে, আর ম্যাচের সময়ও ফুরিয়ে আসছে তখনই একটা গড়বড় পাকিয়ে বসেন ফার্নান্দিনহো। নিচ থেকে খেলা বিল্ড আপ করতে গিয়ে পজেশন হারান তিনি। পরে সিন লংস্টাফের কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়ে ডিবক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। পেনাল্টিটা অবধারিতই ছিল, রেফারিও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। ৮০ মিনিটে স্পটকিক থেকে রিচি ডি লায়েট গোল করে সিটির সর্বনাশা রাতটা উদযাপন করেন নিজ সমর্থকদের সঙ্গেই।

    দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও হার এড়ালো ইউনাইটেড

    ম্যানচেস্টারের আরেক ক্লাবের রাতটা গেছে পুরো উলটো। ৮৭ মিনিট পর্যন্তও ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই গোলে পিছিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে বার্নলি স্বপ্ন দেখছিল জয়ের। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় রক্ষণে মনোযোগী হয়ে নিজেদের লক্ষ্যের দিকেই যাচ্ছিল সিন ডাইচের দল। কিন্তু ৮৭ মিনিটে ইউনাইটেডকে পেনাল্টি দিয়েই নিজেদের বিপদটা ডেকে আনে বার্নলি। পল পগবা স্পটকিক থেকে এক গোল শোধ করেন তখনই।

    এরপর ওল্ড ট্রাফোর্ডে সেই বিখ্যাত ফার্গি টাইমের গোলেই হার এড়ায় রেড ডেভিলরা। ৯৩ মিনিটে অ্যাশলি ইয়াং এর ক্রস থেকে হেড করেছিলেন বদলি আলেক্সিস সানচেজ। বার্নলি গোলরক্ষক দুর্দান্তভাবে ফিরিয়েও দিয়েছিলেন সেই হেড। কিন্তু ফলো আপে ভিক্টর লিন্ডেলফ গোল করে হারের হাত থেকে বাঁচান দলকে। ওলে গানার সোলশায়ারের অধীনে ৮ ম্যাচ জয়ের পর এবারই প্রথম পয়েন্ট হারালো ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে তাই চেলসি আর আর্সেনালকে ধরা হয়নি সোলশায়ারের দলের। রাতে অন্য ম্যাচে পিয়ের এমেরিক অবামেয়াং আর অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেতের দ্বিতীয়ার্ধের গোলে কার্ডিফ সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তাই পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে উনাই এমেরির দল।