প্লেনে উঠতেই ভয় পাচ্ছিলেন কার্ডিফ খেলোয়াড়েরা
কার্ডিফ সিটি ডিফেন্ডার সল বাম্বা বলেছেন, আর্সেনালের মাঠে খেলতে যাওয়ার আগে একটা চাপা ভয় কাজ করছিল খেলোয়াড়দের মনে। ২২ জুন এমিলিনিয়ানো সালা নিখোঁজ হওয়ার পর গতকালই প্রথম মাঠে নেমেছি কার্ডিফ সিটি। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে রেকর্ড গড়ে দলে ভিড়িয়েছিল কার্ডিফ, কিন্তু নান্টেস থেকে বিমানে করে কার্ডিফের উদ্দেশ্যে আসার সময় উধাও হয়ে যায় শালাকে বহন করা সেই বিমান।
আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সালার স্মরণে মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়েরাই ফুল দিয়ে নীরবতা পালন করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি ম্যাচেই পালন করা হয়েছে নীরবতা। ম্যাচশেষে বাম্বাই জানিয়েছেন, দুর্বিষহ এক সপ্তাহের গল্পও।
“আমার মনে হয় একটা ম্যাচ খেলা দরকার ছিল আমাদের। অন্তত কিছুটা হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পেরেছি আমরা। .কঠিন একটা সপ্তাহ গেল।
“আমরা প্লেনে করে আসছিলাম। কারও কারও মাথায় ভয় কাজ করছিল… আমি আসলে এসব নিয়ে আর বেশি বলতে পারছি না…
“কোচ ও ক্লাবকে আমরা পাশে পেয়েছি। বেশ কয়েকজনের তাতে সাহায্যও হয়েছে। আমার মনে হয় এটা ক্লাব ও কোচের ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। আশা করি সামনে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।
সালাকে ক্লাব রেকর্ড ভেঙে দলে ভিড়িয়েছিল কার্ডিফ সিটি। কিন্তু কার্ডিফের জার্সি পরে আর মাঠে নামা হয়নি তার। ইংলিশ চ্যানেলে নিখোঁজ হওয়ার পর পাওয়া গেছে সেই বিমানের ধ্বংসবাশেষ।
“কোচ আমাদেরকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। তিনি আমাদের বলেছেন, কেউ যদি খেলতে না চায় তাহলে সেটা নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সবাই আসলে সালার জন্যই খেলতে চেয়েছিল।
আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের সঙ্গে বাম্বার আগে থেকেই পরিচয় ছিল, “আমি তাকে চিনতাম, আমার এজেন্টের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় ছিল। সে ক্লাবে এসেছিল, ট্রেনিং গ্রাউন্ড ঘুরে গিয়েছিল, সবাইকে শুধুমাত্র হ্যালো বলতে এসেছিল। সে অবশ্যই আমাদের ক্লাবের অংশ হয়ে গিয়েছে, আমরা তাকে মিস করছি।
“সালা ক্লাবে আসার আগে আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। ক্লাব কেমন, ড্রেসিংরুম কেমন, কোচ কেমন, শহরটা কেমন- সবকিছুই জানতে চেয়েছিল।”
আর্সেনালের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কার্ডিফ। কিন্তু মাঠের ফুটবলে ফেরা দরকার ছিল তাদের, বাম্বা জানিয়েছেন সেটাই।