অবশেষে ওয়েনের রেকর্ড ভাঙল নিউক্যাসেল
৩১ আগস্ট, ২০০৫। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিংবদন্তী ইংলিশ স্ট্রাইকার মাইকেল ওয়েনকে দলে নেয় নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। মাঝে পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় দশক। বদলেছে অনেক কিছুই। ফেসবুকের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এসেছে ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট সহ আরও অনেক কিছু। নিজেদের ট্রান্সফার রেকর্ড ভেঙেছে প্রায় সব দলই। কিন্তু নিউক্যাসেলের সবচেয়ে দামি সাইনিং রয়ে গিয়েছিলেন ওয়েনই। অবশেষে ওয়েনের রেকর্ডটা ভেঙে দিল ‘ম্যাগপাই’রা। ২১ মিলিয়ন পাউন্ডে এমএলএস-এর আটালান্টা ইউনাইটেডের প্যারাগুইয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল আলমিরনকে দলে নিয়েছে নিউক্যাসেল।
মৌসুমটা একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না নিউক্যাসেলের। কিন্তু গতকাল ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে খুব সম্ভবত প্রিমিয়ার লিগে এবারের সবচেয়ে বড় ‘অঘটন’টা জন্ম দিয়েছে তারাই। সিটিকে হারানোর একদিন পরেই ট্রান্সফার রেকর্ড ভেঙ্গে আলমিরনকে দলে নিল তারা। অবশ্য আলমিরনকে দলে নিতে প্রায় বছরখানেক ধরেই উঠেপড়ে লেগেছিল নিউক্যাসেল, কিন্তু আটালান্টার সাথে ট্রান্সফার ফি নিয়েই হচ্ছিল মূল ঝামেলা। অবশেষে নিউক্যাসেল মালিক মাইক অ্যাশলি ভাঙতে রাজি হলেন ওয়েনের রেকর্ড, রাজি হয়ে গেল আটালান্টাও। আটালান্টার হয়ে খেলা ৭০ ম্যাচে ২২ গোল এবং ২১ অ্যাসিস্ট করেছিলেন আলমিরন। প্যারাগুয়ে জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন ১৩টি ম্যাচ।
শেষ যেবার ওয়েনের জন্য ট্রান্সফার রেকর্ড ভেঙেছিল নিউক্যাসেল, তখন খেলোয়াড়ি জীবনের গোধূলিবেলায় ছিলেন পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি গোল করেছিলেন মাত্র একটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দল ছিল লিভারপুল, জিতিয়েছিলেন আলমিরনেরই বর্তমান ম্যানেজার রাফা বেনিতেজ।