• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    খুলনাকে হারিয়ে, রাজশাহীকে হতাশ করে শেষ চারে ঢাকা

    খুলনাকে হারিয়ে, রাজশাহীকে হতাশ করে শেষ চারে ঢাকা    

    খুলনা টাইটানস ১২৩/৯, ২০ ওভার (ভিসে ৩০, শান্ত ২৪, রুবেল ২/২৭, সাকিব ২/৩২) 
    ঢাকা ডায়নামাইটস ১২৪/৪, ১৪.৫ ওভার (থারাঙ্গা ৪২, নারাইন ৩৫, মাহমুদউল্লাহ ২/১৪)
    ঢাকা ৬ উইকেটে জয়ী 


    টানা পাঁচ হারের বোঝা নিয়ে নেমেছিল ঢাকা, শেষ চার নিশ্চিত করতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। প্রতিপক্ষ হিসেবে খাতা-কলমে সবচেয়ে সহজটাই ছিল অবশ্য তাদের জন্য- পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা খুলনা টাইটানস। খুলনা পাত্তা পেলো না ঢাকার কাছে, সহজ জয়েই শেষ চার নিশ্চিত হলো ঢাকার। ঢাকা-খুলনার এ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিল রাজশাহীও, ঢাকা জয়বঞ্চিত হলে শেষ চারে যাওয়া হতো তাদের। সেটা হয়নি, শেষ চারের চতুর্থ দল হিসেবে ঢাকা উঠে গেছে, পঞ্চম হয়ে বিদায় নিয়েছে রাজশাহী। আর খুলনা টুর্নামেন্ট শেষ করলো ১২ ম্যাচে মাত্র ২ জয় নিয়ে। 

     

     

    ঢাকাকে আটকে দেওয়ার মতো কিছু অবশ্য খুলনা করতেও পারেনি প্রথমে ব্যাটিং করে। তিন রান-আউট, দুই বোল্ড, দুই এলবিডব্লিউ, দুইটি ক্যাচ। খুলনার ইনিংস ছিল এলোমেলো। ঢাকা চড়াও হয়েছিল শুরু থেকেই। রুবেল হোসেনের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে আকাশে তুলে শুরুটা করেছিলেন জুনাইদ সিদ্দিক। এরপর ব্রেন্ডন টেইলর সুইপ করতে গিয়ে সাকিবের বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ, ১৪ বলে ১৮ রান করে। রুবেলের লেংথ বল মিস করে একই পরিণতি ডেভিড মালানেরও, পাওয়ারপ্লেতেই ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে খুলনা। 

    মাহমুদউল্লাহ টেকেননি বেশিক্ষণ, কাজি অনিকের ব্যাক অফ আ লেংথের বলটা যেন বুঝে না উঠেই হয়েছেন বোল্ড। সুনীল নারাইনের লেগসাইডের ফুলটসে রিভার্স উইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন আল-আমিন। কিছুক্ষণ ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিবের বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে তিনি বোল্ড হয়েছেন ২০ বলে ২৪ রান করে। 

    ইনিংস সর্বোচ্চ ২৯ রানের জুটি এরপর ৭ম উইকেটে গড়েছেন ডেভিড ভিসে ও তাইজুল ইসলাম। তবে এরপর শুরু হয়েছে রান-আউট তান্ডব। প্রথমে তাইজুল, এরপর শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাদ্দাম ও ডেভিড ভিসে। তাইজুল অবশ্য রান-আউট হতে পারতেন আগেই, নুরুল থ্রোটা ধরতে পারেননি ঠিকঠাক। ভিসে শেষ পর্যন্ত করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩০ রান। 

    প্রথমে শুভাশীষ রায়, এরপর জুনাইদ খান। মোহাম্মদ সাদ্দামকে এরপর দুইটি ছয় মেরেছেন সুনীল নারাইন। তবে ঝড় থেমেছে, সাদ্দামের বলেই এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়ার আগে নারাইন করেছেন ১৩ বলে ৩৫। নারাইনের পর দ্রুত ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসানও, মাহমুদউল্লাহর বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে। 

    তবে একপ্রান্তে ছিলেন উপুল থারাঙ্গা। মাহমুদউল্লাহকে ছয়ের পর জুনাইদকে মেরেছেন দুই চার, এরপর তাইজুলকে ছয়ের পর চার। মাহমুদউল্লাহর বলে লং-অনে ধরা পড়ার আগে করেছেন ৩০ বলে ৪২, ঢাকাও জয়ের পথে ততক্ষণে এগিয়ে গেছে অনেকখানি। থারাঙ্গার আগে ফিরেছিলেন মিজানুর রহমান। 

    এরপর নুরুল হাসান সোহানের ২৬ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৩১ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়েছে ঢাকার।