খালেদ পার্থক্য দেখছেন 'বিগ হিটারে', সুজন চান মোমেন্টাম
টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্রায় খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। খুলনা টাইটানসের সঙ্গে জয়ে শেষ রক্ষা হয়েছে বটে, তবে চিটাগং ভাইকিংসের সঙ্গে কালকের ম্যাচের আগে বাড়তি একটু অস্বস্তিতে থাকতেই পারে। চিটাগং যে গ্রুপ পর্বের দুইটি ম্যাচেই হারিয়েছে ঢাকাকে! এলিমিনিটরের আগে চট্টগ্রামের পেসার খালেদ আহমেদ বলছেন, দুই দলের পার্থক্য বিগ হিটারেই।
কাগজে কলমে চিটাগংয়ের চেয়ে ঢাকার এগিয়েই থাকার কথা। রাসেল, পোলার্ড, নারাইনরা থাকতে পাল্লাটা তাদের দিকেই ভারি হওয়ার কথা। কিন্তু দুই বারের দেখাতেই সেই পার্থক্যটা বোঝা যায়নি একদমই, ঢাকার বিগ হিটাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। খালেদ অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বিগ হিটারই দুই দলের পার্থক্য হতে পারে, ‘আসলে আমাদের দলে তেমন বিগ হিটার নেই, কিন্তু ওদের দলে আছে। এখানেই আসলে আমরা একটু পিছিয়ে আছি এবং পার্থক্যটা এখানেই। আমাদের দলে বিগ হিটার কম, আর ওদের দলে বেশি। ওদের সুযোগ থাকবে বেশি বিগ হিট করার। আমাদের সেটা কম, এটাই আরকি। তবে ইনশাল্লাহ আমরা চাইবো এখান থেকে বের হয়ে আসতে এবং শেষ দুই ম্যাচ যেভাবে খেলেছি আমরা চাইবো যে এর থেকে আরও ভালো ক্রিকেট খেলে শেষ ম্যাচটি জিতবো।'
চিটাগংয়ের হয়ে ফ্রাইলিঙ্ক অবশ্য ব্যাট হাতে বিগ হিটে কয়েকটি ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। খালেদ নিশ্চিত করতে পারলেন না, কাল এই দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডারকে পাওয়া যাবে কি না, ‘এটি তো আমি বলতে পারবো না। এটা ম্যানেজমেন্ট এবং কোচিং স্টাফরা জানে। আমাকে এগুলো বলা হয় না যে কে খেলবে বা না খেলবে। আমি যা দেখছি সে মোটামুটি সুস্থ। সুতরাং খেলতেও পারে, আমি এটি জানি না।'
খুলনার ম্যাচ থেকে ঢাকার জন্য প্রতিটা ম্যাচই এখন নকআউট, হারলেই বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। তবে আপাতত শীর্ষ চারে যেতে পারেই সন্তুষ্ট তাদের কোচ খালেদ মাহমুদ, ‘কোয়ালিফায়ারে খেললে বা এক অথবা দুইয়ে থাকলে এরপরেও আমাদের নকআউটেই খেলতে হতো। সেখানে একটি সুযোগ থাকতো হয়তো। আমি ধরলাম একটি বেশি নকআউট ম্যাচ খেলতে হবে এটাই আরকি।’
খালেদ মাহমুদ আশা করছেন, গত বার জনসনের সেঞ্চুরিতে প্লে অফে গিয়ে যেরকম ছন্দ খুঁজে পেয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছিল রংপুর, এবার ঢাকাও খুলনার ম্যাচ থেকে পাওয়া ‘মোমেন্টাম’ কাজে লাগাতে পারবে, ‘'আসলে মোমেন্টামটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রংপুর সঠিক সময়ে মোমেন্টামটি ধরে ফেলেছিলো। জনসন চার্লসের শতক, ক্রিস গেইলের শতকটি আমাদের বিপক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তেমনটাই আমি বললাম যে আসলে মোমেন্টামটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো কাল জয়ের পর আমরা একটি নিশ্বাস নিতে পেরেছি সত্যি কথা বলতে। আমরা মোমেন্টামটি কিছুটা হলেও ফিরে পেয়েছি। কিছুটা আশ্বাস, ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, সেটাই আসলে বড় জিনিস। আশা করি এই মোমেন্টামটি ধরে রাখতে পারবো। এখনই তো বলতে পারবো না যে ৮ তারিখে খেলবো কি খেলবো না। প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য নকআউট। সুতরাং প্রত্যেক ম্যাচেই আমাদের সেই এক্সিকিউশন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে। আর আমি বিশ্বাস করি যে ঢাকা সামর্থ্যবান একটি দল এবং ফাইনালে খেলার জন্য ভালো দল।' ’