• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    পগবা-রাশফোর্ড মানিকজোড়ে ইউনাইটেডের লেস্টার-জয়

    পগবা-রাশফোর্ড মানিকজোড়ে ইউনাইটেডের লেস্টার-জয়    

    মধ্যে শুধু বার্নলির সঙ্গে একটা ম্যাচে হোঁচট। নইলে ওলে গানার সোলশায়ারের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্বপ্নযাত্রা চলছেই। লেস্টার সিটির বিপক্ষে তাদের মাঠে ১-০ গোলের জয়ে ইউনাইটেড এখন উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। পগবা-রাশফোর্ড মানিকজোড়েই তিন পয়েন্ট পেয়েছে ইউনাইটেড।

     

     

    এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগ ৫ মিনিটেই পেয়েছিল ইউনাইটেড। লুক শ’র মাপা ক্রস এসে পড়ে মার্কাস রাশফোর্ডের মাথায়। কিন্তু কাছ থেকেও হেডটা পোস্টে রাখতে পারেননি, চলে যায় বার উঁচিয়ে।

    চার মিনিট পরেই অবশ্য ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করার সুযোগ পেয়ে যান রাশফোর্ড। লেস্টার সিটির রিকার্ড পেরেইরা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দিয়েছিলেন পগবার পায়ে। ইউনাইটেডের ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার আরও দুজনকে পাস দিতে পারতেন। কিন্তু কঠিনতম পাসটাই মাপা একটা বলে সহজে পৌঁছে দিলেন রাশফোর্ডের পায়ে। তার চেয়েও দারুণ ফার্স্ট টাচে রাশফোর্ড বলটা বুটের আগায় নিলেন, গোলার মতো শট জড়িয়ে দিলেন জালে। টানা তিন মৌসুমে ইউনাইটেডের হয়ে গোলের দুই অঙ্ক ছুঁলেন রাশফোর্ড, মাত্র ২১ বছর বয়সেই। সেটাও আবার নিজের শততম প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে। কেন তাঁর জন্য রিয়াল এত টাকা খরচ করতে চাইছে, বুঝিয়ে দিলেন সেটিও।

    এরপর লেস্টার একটু গুছিয়ে খেলতে থাকে। জেমস ম্যাডিসন ২৫ গজ দূর থেকে গোলের চেষ্টাও করেছিলেন, তবে ডি গিয়ার সেটি আটকে দিতে সমস্যা হয়নি। রাশফোর্ড প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন স্মাইকেল।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইউনাইটেডকে চেপে ধরে লেস্টার। তবে পরিষ্কার গোলের সুযোগ আসছিল না। সেটা এসে যায় অনেকটা আচমকাই। ৬০ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে বল এসে পড়েছিল জেমি ভার্ডির কাছে। দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকও করেছিলেন, কিন্তু ডেভিড ডি গিয়া ছিলেন জায়গামতো। দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দিয়েছেন। ইউনাইটেড এই অর্ধে অনেকটাই কোণঠাসা, শেষ পর্যন্ত নিষ্প্রভ সানচেজকে তুলে মার্শিয়ালকে নামিয়েছেন সোলশায়ার। মাতিচ-পগবা অবশ্য মধ্যমাঠের লাগাম সেভাবে হাতছাড়া হতে দেননি।

    তবে লেস্টার চাপ দিচ্ছিলই। ৭৭ মিনিটে আরও একবার ইউনাইটেডের ত্রাণকর্তা ডি গিয়া। এবার গেজালের বাঁ পায়ের ফ্রিকিকটা জালে ঢুকেই যাচ্ছিল। কিন্তু চিলের মতো উড়ে ডি গিয়া সেটি ঠেকিয়ে দেন। ৮১ মিনিটে সেট পিস থেকে উড়ে আসা বলটা বক্সে পা লাগালেই গোল হয়ে যেতে পারত ইভান্সের, কিন্তু লেস্টার ডিফেন্ডার সহজ কাজটাই করতে পারলেন না।

    ৮৭ মিনিটে ইউনাইটেডের হয়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি হিসেবে নামা লুকাকু। তবে বক্সের মাথা থেকে তাঁর বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন স্মাইকেল।

    ৮৮ মিনিটে ভার্ডি পেয়ে যান আরেকটি দারুণ সুযোগ। এবার প্রতিআক্রমণ থেকে বার্নসের ক্রসে তাঁর শট সরাসরি চলে যায় ডি গিয়ার কাছে। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাগুইরে। কিন্তু বক্সের ভেতর শটটা পোস্টে রাখতে পারেননি। ঘরের মাঠে লেস্টারকেও তাই ফিরতে হয়েছে হার নিয়েই।