• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিভারপুলকে রুখে দিয়ে লিগ জমিয়ে তুলল ওয়েস্ট হাম

    লিভারপুলকে রুখে দিয়ে লিগ জমিয়ে তুলল ওয়েস্ট হাম    

    পেপ গার্দিওলার জন্য সপ্তাহটা এর চেয়ে ভালো আর যেতে পারত না। আগুয়েরোর হ্যাটট্রিকে আর্সেনালকে হারিয়েছে তাঁর দল সিটি। আর সোমবারে দেখলেন, লিভারপুল ওয়েস্ট হামের মাঠে গিয়ে ড্র করে এসেছে ১-১ গোলে। সিটি আর লিভারপুলের মধ্যে ব্যবধান কমে এখন ৩ পয়েন্ট, অথচ গত ২৯ ডিসেম্বরই সেটি ছিল ৯ পয়েন্ট। বুধবার এভারটনকে হারাল সাময়িকভাবে হলেও শীর্ষে উঠে যাবে সিটিই।

     

     

    ইয়ুর্গেন ক্লপ এখন চ্যালেঞ্জটা ভালোমতোই টের পাওয়ার কথা। লিগের এখন যে অবস্থা, তাতে প্রতিটি পয়েন্টই মূল্যবান। তার ওপর সামনে আবার আসছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। চোটজর্জর লিভারপুল কাল নেমেছিল লভরেন, ভিনালডাম, হেন্ডারসন, গোমেজ, আলেকজান্ডার আরনল্ডদের ছাড়া। ওয়েস্ট হামের মাঠে অবশ্য লিভারপুল প্রথম ১৫ মিনিটেই দিয়েছে পরীক্ষা। হাভিয়ের হার্নান্দেজ পেয়েছিলেন দুইটি সুযোগ। একবার তাঁর নেওয়া শট একটুর জন্য চলে গেছে পোস্ট ঘেঁষে। আরেবার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ফিরিয়ে দিয়েছেন লিভারপুলের গোলরক্ষক এলিসন।

    লিভারপুলের বলার মতো প্রথম সুযোগটা আসে ১৯ মিনিটে, ওয়েস্ট হামের রক্ষণ আর মধ্যমাঠের ফাটলের সুবিধা নিয়ে বল পেয়ে যান রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু শটটা সহজেই ঠেকিয়েই দিয়েছেন ওয়েস্ট হাম গোলরক্ষক ফাবিয়ান্সকি। তিন মিনিট পরেই অবশ্য এগিয়ে যায় লিভারপুল। জেমস মিলনারের ক্রস থেকে পা ছুঁইয়ে এগিয়ে দেন সাদিও মানে। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, মিলনার ভালোভাবেই অফসাইড ছিলেন।

    তবে ভাগ্যটা ২৮ মিনিটে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি ওয়েস্ট হামের কাছ থেকে। ভাগ্যের চেয়ে অবশ্য নিজেদের পরিকল্পনাই বড় ছিল। ফেলিপে এন্ডারসনের শর্ট ফ্রিকিক থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান মিকাইল অ্যান্টোনিও। ডান পায়ের জোরালো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। ৪২ মিনিটে সেট পিস থেকেই এবার এগিয়েই যেতে পারত ওয়েস্ট হাম, কিন্তু ডেকলান রাইসের শট একটুর জন্য চলে গেছে বারের ওপর দিয়ে।

    বিরতির পর দুই দলের কেউই সেই অর্থে পরিষ্কার সুযোগ পায়নি। ৬২ মিনিটে রাইস ও স্নডগ্রাসকে কাটিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লিভারপুলের সালাহ, কিন্তু ফাবিয়ান্সকে পরাস্ত করে বল জালে জড়াতে পারেনই। ওদিকে গোলের জন্য ওয়েস্ট হামও নামিয়ে দিয়েছিল সাবেক লিভারপুল স্ট্রাইকার অ্যান্ডি ক্যারলকে, কিন্তু গোল পাননি তিনিও। শেষ মুহূর্তে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন লিভারপুলের ডিভক ওরিগি, কিন্তু একা পেয়েও সরাসরি ফাবিয়ান্সকির হাতে বল তুলে দেন।