ঢাকা মানল, গেইলের না খেলাটাও ভয়ের কারণ
ঘুমন্ত সিংহের ঘুম ভেঙে গেল কী হয়, সেটা সবাই জানে। গত বার জেনেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস। দুই সেঞ্চুরিতে ক্রিস গেইল বলতে গেলে হারিয়ে দিয়েছেন দুই দলকে। তবে এবার সেই ঘুমটা একটু বেশিই লম্বা মনে হচ্ছে গেইলের। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে যে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। কাল ঢাকার বিপক্ষে হয়তো শেষ একটা সুযোগ পাচ্ছেন। আর ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও স্বীকার করেছেন, গেইলের এখন পর্যন্ত স্বরূপে না ফেরাটা ভয়েরই।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করেছেন গেইল। প্রথম পাঁচ-ছয় ম্যাচে রাইলি রুশো অভাব বুঝতে দেননি। এর মধ্যে অ্যালেক্স হেলস ফর্মে চলে এসেছেন, আর ডি ভিলিয়ার্স আসায় তো গেইলের ওপর থেকে কিছুটা হলেও সরে গেছে পাদপ্রদীপের আলো। কিন্তু তখনও গেইল একটা ৫৫ রানের ইনিংস ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি।
কাল অন্তত মনে হচ্ছিল, একটু করে আড়মোড়া ভাঙতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাও হলো না। অনেক বেশি সময় লাগিয়ে গেলেও ৪৬ রানের বেশি করতে পারলেন না। টুর্নামেন্টে তাঁর স্ট্রাইক রেট (১০৬ প্রায়) টি-টোয়েন্টির মানদণ্ডেও বেশ হতাশাজনকই বলতে হবে। তাহলে কি এবার গেইলের ঘুমটা ভাঙবেই না?
সমস্যা হচ্ছে, গেইল তাঁর দিনে কী করতে পারেন, সেটা সবাই জানে। আর বড় ম্যাচে তিনি কী করতে পারেন, তার প্রমাণ গত বার ভালোমতোই পেয়েছে ঢাকা। ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদ নিজেও তা মানলেন, ‘ক্রিস গেইল খেলতে পারছে না, এটি আসলে ভয়েরই কারণ। এর আগের ফাইনালে ক্রিস গেইলের একশই আমাকে পেছনে ফেলে দিয়েছিলো আসলে। ক্রিস গেইল হলো ক্রিস গেইল। এটি আসলে তুলনা করার কিছু নেই। সে কখন মারবে কি মারবে না সেটি তাঁর ব্যাপার। ক্রিসকে নিয়ে আলাদা করে সেভাবে চিন্তা করার কিছু নেই যে মারছে না বা প্রথম বল থেকে হয়তো মারা শুরু করবে। তো আমার কথা সেটি না। এরপরেও আমরা ক্রিসকে নিয়ে পরিকল্পনা করি আর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটাই বড় ব্যাপার।‘
শুধু গেইলকে নিয়েও ভাবতে অবশ্য রাজি নন মাহমুদ, ‘ওদের ম্যাচ উইনার অনেক আছে। রাইলি রুশো আছে, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সুতরাং আমি বলবো যে এই কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো ক্রিকেটার সে এবং গেম চেঞ্জার। মাশরাফির কথা আলাদা করে বলতেই হয়। আর ওদের যারাই আছে তারাই ভালো খেলতে সক্ষম আসলে।'
কিন্তু নিজের এই অফ ফর্ম নিয়ে গেইল কী ভাবছেন? সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোথাও কথা বলেননি এতোদিন। আজ ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ম্যাপল লিফে গিয়ে বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এবার রান পাইনি। তবে আমি ভালো অবস্থায় আছি। আমি জানি দল আমার কাছ থেকে কী চায়। গত বছর সবচেয়ে বেশি রান ছিল আমার। আশা করি কাল অভিজ্ঞতার একটা চপা ফেলতে পারব। তবে আমরা দল হিসেবে খেলছি, দলের জয়টাই আমার কাছে বড়।’