অথচ নিউজিল্যান্ডে কোনো আত্মবিশ্বাস নিয়েই যাচ্ছেন না তামিম!
তামিম ইকবাল আজ যেমন খেললেন, তার চেয়েও বেশি ভালো কথা বললেন সংবাদ সম্মেলনে। আজ যেমন খেলেছেন, এমন একটা ইনিংসের পর নিউজিল্যান্ড সফরের আগে আত্মবিশ্বাসের পারদটাও তুঙ্গে থাকার কথা। অথচ তামিম কিছুটা অবাক করেই বললেন, এই ইনিংসের স্মৃতি এখানেই শেষ। এখান থেকে কোনো আত্মবিশ্বাস নিয়েই যাচ্ছেন না নিউজিল্যান্ডে।
নিউজিল্যান্ড সিরিজটা এমনিতেও তামিমের খুবই কঠিন। আজ ফাইনালের পর কালই উড়াল দিতে হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে। বিপিএলের পর কোনো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ নেই,দুই দিনের মধ্যে নেমে পড়তে হবে মাঠে। তারপরও এমন একটা ইনিংস খেললে তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস থাকেই। অথচ তামিমের কাছে সেরকম কিছুই ছিল না, ‘আমি এখান থেকে কোনো আত্মবিশ্বাসই নিয়ে যাচ্ছি না। দেখেন, ওখানে ম্যাচ আলাদা, পরিস্থিতি আলাদা। আমি রান করেছি, এখানেই শেষ। আমি যাচ্ছি এমন জায়গায় যেখানে সবকিছুই আলাদা। ফরম্যাট আলাদা, বোলিং আলাদা। আমি যে জিনিসটা করতে চাই, গত চার পাঁচ বছর ধরে; আমি একটা প্র্যাকটিস সেশন পাব ম্যাচের আগে সেটা কাজে লাগাতে চাই। এবং ম্যাচে রান করতে চাই। রান পেলে তো ভালোই লাগে, এটা ইতিবাচকই। তবে আমি জানি ওখানে কী করতে হবে। আর জাতীয় দলের ব্যাপার একেবারেই আলাদা, ওখানকার সাথে কিছুর তুলনা চলে না।'
কিন্তু এই বিপিএলে যা হয়েছে, সেটা একরকমের স্বপ্নপূরণও। তামিমের নিজের কন্ঠেও সেই স্বপ্নপূরণের আনন্দ ধরা পড়ল খুব করেই, 'অনেক সুযোগ ছিল, গত কয়েক বছরে। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি অনেক আশা করে আমাকে নেয়। বিপিএল আমার কাছে খুব ব্যক্তিগত একটা ব্যাপার ছিল।আমি সব সময় চাইতাম, একটা কাপ দরকার, একটা কাপ দরকার।'
শুধু ফাইনালে নয়, বিপিএলে একটা সেঞ্চুরিও তো অনেক কাঙ্খিত ছিল। এই টুর্নামেন্টেই একবার সত্তরের ঘরে গিয়ে পারেননি। বিপিএলের আগের আসরেও এমন হয়েছে। সেটা তো তামিমকে অন্যরকম একটা তৃপ্তি দিচ্ছেই, 'এখানে অনেক বার ৭০-৮০ করে আউট হয়েছি্, পাঁচ ছয় ওভার বাকি ছিল। আজ সেটা হয়নি। ফাইনালে হওয়ায় এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারেনি। অবশ্যই অনেক অনেক নির্ভার লাগছে। সেঞ্চুরি থেকে আমি শিখতে পেরেছি, এই জিনিসটা আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে নিয়ে যেতে পারি। ঢাকার বোলিং অনেক দলের চেয়ে ভালো। এই জায়গায় যদি আমি এমন ইনিংস খেলতে পারি, জাতীয় দলে সেটা করতে না পারার কোনো কারণ নেই।