শীর্ষে উঠে সিটির ওপর চাপটা বাড়িয়ে দিল লিভারপুল
শেষ কয়েক ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা ভুলতে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচটা মোক্ষম একটা সুযোগ ছিল লিভারপুলের জন্য। সামনে চ্যাম্পিয়নস লিগ, এর আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা আরেকবার ফিরে পাওয়ার সুযোগও ছিল। অ্যানফিল্ডে সবকিছু হয়েছে লিভারপুলের মনমতোই। বোর্নমাউথকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে তারা। আগামীকাল চেলসির বিপক্ষে ম্যাচটা তাই সিটির জন্যে জয়ে গেছে আরও কঠিন।
অ্যানফিল্ডে বোর্নমাউথকে হারাতে মোটেই বেগ পেতে হয়নি ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে। শুরুতে যদিও অ্যালিসনকে পরীক্ষায় ফেলেছিলেন রায়ান ফ্রেসার। কিন্তু এরপর আর অ্যানফিল্ডে শঙ্কা জাগেনি এক মুহুর্তের জন্যও। আগের ৩ ম্যাচেই গোল করেছিলেন সাদিও মানে, বোর্নমাউথের বিপক্ষেও করলেন একই কাজ। ২৪ মিনিটে জেমস মিলনারের ক্রস থেকে হেডে গোল করে প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে টানা ৪ ম্যাচে গোল করলেন মানে।
১০ মিনিটে পর দলে ফেরা জর্জিও ওয়াইনাল্ডাম দারুণ এক লবে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেললে ম্যাচের ভাগ্য প্রায় তখনই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ফিরমিনো আর নাবি কেইতার সাজানো আক্রমণ থেকে সালাহ করেন তৃতীয় গোল। মৌসুমের ২০ তম গোলে ৪৭ মিনিটে লিভারপুলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সালাহ। বাকি সময়ে লিভারপুলের নিয়ন্ত্রণেই ছিল ম্যাচ, অবশ্য আর গোল করতে পারেনি তারা।
বড় দলগুলোর সহজ জয়ের রাতে জয় পেয়েছে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। পয়েন্ট তালিকার তলানীর দল হাডার্সফিল্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। অ্যালেক্স ইওবি ও অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেতের গোলে বিরতির আগেই দুই গোলের লিড নিয়েছিল উনাই এমেরির দল। অ্যাডিশনাল টাইমে অবশ্য একটি গোল হজম করে আর্সেনাল। সেটাও তাদের নিজেদেরই করা, সিড কোলাসিনাচের আত্মঘাতী গোলে হারের ব্যবধান কমে হাডার্সফিল্ডের।
দিনের প্রথম ম্যাচে ম্যান ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ ছিল ফুলহ্যাম। ওলে গানার সোলশায়ারের দল দারুণ খেলেছে ক্রাভেন কটেজেও। দুর্দান্ত ম্যান ইউনাইটেডের কারিগর পল পগবা ও অ্যান্থলি মার্শিয়াল। মার্শিয়ালের অ্যাসিস্টে ১৪ মিনিটে প্রথম গোল করেন পল পগবা। এরপর ১০ মিনিটেরও কম ব্যবধানে দারুণ এক সলো গোল করেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে পগবা করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। তাতে এই মৌসুমে নিজের গোল সংখ্যা তিনি নিয়ে গেলেন ১১ তে। ক্যারিয়ারে এক মৌসুমে লিগে এটাই পগবার সর্বোচ্চ গোল।