• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চলে গেলেন ইংল্যান্ডের অতন্দ্র প্রহরী ব্যাঙ্কস

    চলে গেলেন ইংল্যান্ডের অতন্দ্র প্রহরী ব্যাঙ্কস    

    হেডটা করেই উদযাপন করার জন্য লাফিয়ে উঠেছিলেন পেলে। নিশ্চিত গোলের অপেক্ষায় মেক্সিকোর গুয়াদালহারার ৬৭ হাজার দর্শক। এরপর যেটা হলো, সেটার জন্য কেউই ঠিক প্রস্তুত ছিলেন না। চিলের মতো উড়ে গিয়ে প্রায় অবিশ্বাস্যভাবে সেই হেড ঠেকিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের গর্ডন ব্যাঙ্কস। এতগুলো বিশ্বকাপ কেটে গেল, এত এত সেভ হলো, এরপরও বিশ্বকাপের সেরা সেভ বললে অনেকেই ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্যাঙ্কসের সেই সেভের কথাই বলেন। সেইসব স্মৃতি সঙ্গী করে ৮২ বছর বয়সে আজ চলে গেলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ইংলিশ গোলরক্ষক।

     

     

    ইংল্যান্ডের তো বটেই, সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদেরই একজন ব্যাঙ্কস। ছয় বার ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ৭৩ ম্যাচ। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের সেই বিশ্বকাপজয়ী দলের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে ছিলেন গোলপোস্টের নিচে। তবে বিশ্বকাপ আসলে ব্যাঙ্কসকে মনে রাখবে পেলের সেই অতিমানবীয় সেভের জন্য।

     

     

    জন্ম শেফিল্ডে, ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন চেস্টারফিল্ডের হয়ে। ১৯৫৯ সালে তাঁকে  ৭ হাজার পাউন্ড দিয়ে কিনে নেয় লেস্টার সিটি, এর পরেই আসতে শুরু করেন পাদপ্রদীপের আলোয়। ১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয়, এরপর ব্যাঙ্কসের গ্লাভসেই ইংল্যান্ডের নির্ভরতার চাবি। ৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রতিটা ম্যাচ আগলেছেন। সত্তরের বিশ্বকাপেও সেই দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর, কিন্তু ব্রাজিলের সঙ্গে ওই ম্যাচের পর নেমে আসে দুর্ভাগ্য। পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে পেটের পীড়ার জন্য নামতেই পারেননি। সেই ম্যাচটা হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ইংল্যান্ড।

    এর মধ্যে স্টোক সিটিকে নিয়ে লিগ কাপ জেতেন ব্যাঙ্কস। ক্যারিয়ারের শেষটা হয়ে থাকে করুণ এক উপাখ্যান। অনুশীলন থেকে বাসায় ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় ডান চোখের দৃষ্টি হারান, খেলা ছেড়ে দেন ১৯৭২ সালে। পেশাদার ফুটবলের শেষও সেখানেই, তবে তার আগেই চলে গেছেন অন্য উচ্চতায়। সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের ছোট্ট তালিকায় লেভ ইয়াশিন আর দিনো জফের সঙ্গে তাই আসে ব্যাঙ্কসের নামও।