দর্শকের বোতল ছুড়ে মারা ও ডি মারিয়ার 'জবাব'
মাত্র এক মৌসুম খেলেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ইউনাইটেডের হয়ে সময়টা খুব বেশি ভালো কাটেনি অ্যানহেল ডি মারিয়ার, কেনা দামের চেয়ে অনেক কমেই তাকে পিএসজির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। চার বছর পর নিজের সাবেক ক্লাবের মাঠে খেলতে এসে অভ্যর্থনাটা খুব ভালো পেলেন না ডি মারিয়া। চ্যাম্পিয়নস লিগের গত রাতের ম্যাচে দুয়ো তো বটেই, ডি মারিয়ার দিকে ছুড়ে মারা হয়েছে বোতলও! শেষ হাসিটা অবশ্য ডি মারিয়াই হেসেছেন, তাঁর দুই অ্যাসিস্টেই ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেছে পিএসজি।
২০১৪ সালে ফন গাল ৫৯.৭ মিলিয়ন পাউন্ডে ডি মারিয়াকে ইউনাইটেডে আনেন। তবে তাকে নিয়ে অনেক আশা থাকলেও এখানে খুব ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন, ৩২ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র চার গোল। পরের মৌসুমেই তাকে ৪৪ মিলিয়নে পিএসজির কাছে বিক্রি করে দেয় ইউনাইটেড।
চার বছর পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরে ডি মারিয়া হয়ত ভেবেছিলেন, দর্শকরা তাকে স্বাগতই জানাবেন। সেটা তো হয়ইনি, উল্টো দুয়ো শুনতে হয়েছে ডি মারিয়াকে। ম্যাচের আগে মাঠে নামার সময় থেকেই যতবার তাঁর পায়ে বল গেছে, দুয়ো দিয়েছেন ইউনাইটেডের সমর্থকরা। শুধু দুয়ো দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তারা, বিয়ার ও পানির বোতলও ছুড়ে মেরেছেন!
দর্শকের এমন আচরণের জবাবটা অবশ্য মাঠেই দিয়েছেন ডি মারিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর অ্যাসিস্টেই গোল করেন কিমপেম্বে ও এমবাপ্পে। গোল উদযাপনের সময় ইউনাইটেড সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে ডি মারিয়ার চিৎকারই বলে দিচ্ছিল, তাদের অমন আচরণ করা উচিত হয়নি।
পিএসজি কোচ টমাস টুখেলও ওল্ড ট্রাফোর্ডের দর্শকের এমন আচরণে অবাক, ‘ডি মারিয়া অনেক শক্ত মনের ফুটবলার। তাকে তেতিয়ে দিয়েও লাভ হবে না। কিন্তু আমি মনে করতাম সাবেক ক্লাবের সমর্থকদের সাথে তাঁর সম্পর্কটা ভালো! প্রথমার্ধে সে কিছুটা নার্ভাস ছিল, পরে সেটা কাটিয়ে উঠে দারুণ খেলেছে।’