ইন্টারের অধিনায়কত্ব হারালেন ইকার্দি
সিরি আ-তে টানা ৭ ম্যাচ গোল পাননি মাউরো ইকার্দি। ডালপালা ছড়াচ্ছে তার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনও। এজেন্ট ওয়ান্ডা নারার সাথে তো রীতিমত বাগযুদ্ধই চলছে কোচ লুচিয়ানো স্পালেত্তি এবং ইন্টার প্রেসিডেন্ট মাসিমো মারোত্তার। সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না ইকার্দির। কিন্তু অবস্থা যেন আরও বেগতিক হয়ে গেল 'সাবেক' ইন্টার অধিনায়কের। হ্যাঁ, সাবেক। মাঠের বাইরের ঝামেলার কারণে 'নেরাজ্জুরি'দের অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন ইকার্দি। নতুন অধিনায়ক বানানো হয়েছে গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচকে।
ইউরোপা লিগে র্যাপিড ভিয়েনার বিপক্ষে ম্যাচেও দলে রাখা হয়নি ইকার্দিকে। এরপর অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে ক্লাবের পক্ষ থেকে। তবে ইন্টার নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে কোনো কারণ জানায়নি।
ইকার্দির সাথে ইন্টারের কলহটা অবশ্য নতুন নয়। ২০১৮-১৯ মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই ক্লাব ছাড়ার কথাবার্তা চলছিল। এই মৌসুমটা আপাতত থেকে যাচ্ছেন ইন্টারে, কিন্তু ২০১৯-২০ এ হয়ত অন্য জার্সিই গায়ে চাপাতে পারেন ইকার্দি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর তাকেই দলে নিতে চায় 'লস ব্লাঙ্কোস'রা- এমন খবর চাউর হয়েছিল বেশ। ইকার্দির সহধর্মিণী এবং এজেন্ট নারা গণমাধ্যমে বলেছিলেন, রিয়াল চাইলে ইন্টার ছাড়তে রাজি আছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এতেই চটে যান স্পালেত্তি এবং মারোত্তা। এমনকি ইকার্দির ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব ড্রেসিং রুমেও পড়ছে, জানিয়েছেন কোচ স্পালেত্তি। মিডিয়ায় এসব খবর ছড়িয়ে পড়ায় হতাশ মারোত্তা, 'আমরা অভ্যন্তরীণভাবে এসব সমাধান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়। মাউরোর (ইকার্দি) ওপর চাপটা এখন এমনিতেই বেশি। এসময় অধিনায়কত্বের চাপ সে সইতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে আমাদের। এজন্যই তার থেকে অধিনায়কত্ব সরিয়ে নিচ্ছি আমরা। আর সামির (হান্দানোভিচ) অনেকদিন ধরেই ইন্টারে আছে। ড্রেসিং রুমে একজন নেতা সে। মাউরোর বদলে অধিনায়ক হিসেবে সে-ই আমাদের প্রথম পছন্দ।'