বুন্দেসলিগা জমিয়ে তুলল বায়ার্ন
আগের ম্যাচেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের অপ্রত্যাশিত ড্রয়ের ফায়দা নিয়ে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। কাল অসবুর্গের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটা ছিল শীর্ষে থাকা ডর্টমুন্ডের সাথে ব্যবধানটা দুইয়ে নামিয়ে আনার। দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে বায়ার্ন। কিংসলে কোমানের জোড়া গোলে অসবুর্গকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ডর্টমুন্ডের ওপর চাপটা আরও বাড়িয়ে দিল বায়ার্ন, জমে উঠল বুন্দেসলিগাও।
ম্যাচের ১৩ সেকেন্ডের মাথায়ই আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে বায়ার্ন। বক্সের ভেতরে আসা ক্রসে পা লাগিয়ে নিজের জালেই বল জড়ান লিওন গোরেটজকা। ১৭ মিনিটে সমতা ফেরান কোমান। জসুয়া কিমিচের ক্রসে বক্সের ভেতর বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন তিনি।
সেই সমতা অবশ্য খুব বেশিক্ষণ থাকেনি। ২৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় অসবুর্গ। ডং উন জির বাঁ পায়ের দারুণ এক শট বোকা বানায় ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা ম্যানুয়েল নয়্যারকে। তিন মিনিট পর সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন গোরেটজকা, তার শট ঠেকিয়ে দেন কোবেল। ৩৩ মিনিটে সার্জি গ্যাব্রির হেডও বাঁচিয়ে দেন তিনি। পরের মিনিটে রবার্ট লেভানডফস্কির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার ঠিক আগে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে বায়ার্নকে ম্যাচে ফেরান কোমান।
বিরতির ঠিক পরপরই বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ডেভিড আলবা। ৫৩ মিনিটে করা আলবার এই গোলেও অ্যাসিস্ট ছিল জোড়া গোল করা কোমানের। তিন মিনিট পর সমতা আনতে পারত অসবুর্গ, ডং উনের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন নয়্যার। ৬১ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে চতুর্থ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছন টমাস মুলার, তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন কোবেল।
৭১ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছেন কোমান, তাকে হতাশ করেন কোবেল। কোমানের হেড দুর্দান্তভাবে সেভ করেছেন অসবুর্গ কিপার। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। ২২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪৮। এক ম্যাচ কম খেলে ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৫০।