১৮ বছর বয়সেই যখন দলের অধিনায়ক ও কোচ!
মাঠে উপস্থিত মাত্র সাতজন ফুটবলার, তাদের মাঝে ছয়জনেরই বয়স বিশের নিচে, নেই কোনো কোচিং স্টাফও! একদিকে ফুটবলার সংকট, অন্যদিকে ম্যাচ না খেললে নিষেধাজ্ঞার আশংকা। সবকিছু মিলিয়ে ইতালির তৃতীয় বিভাগের দল প্রো পিয়াসেনজার ভবিষ্যৎ তখন হুমকির মুখে। শেষ পর্যন্ত সাতজন নিয়েই কুনেয়োর বিপক্ষে খেলতে নামল পিয়াসেনজা, কোচের দায়িত্ব নিলেন ১৮ বছরের অধিনায়ক নিকোলা সিরিগলিয়ানো!
তৃতীয় বিভাগের পয়েন্ট তালিকার একদম তলানিতে আছে পিয়াসেনজা। আর্থিক সংকটে গত আগস্ট থেকে ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের বেতন দিতে পারছে না ক্লাবটি। ফলে ক্লাবের হয়ে খেলতে চাইছেন না বেশিরভাগ ফুটবলারই, নেই কোনো কোচও। শেষ তিন লিগ ম্যাচেই ফুটবলার সংকটে মাঠে নামা হয়নি পিয়াসেনজার। কুনেয়োর বিপক্ষেও যদি না খেলত তারা, তাহলে লিগের মাঝপথেই সিরি সি থেকে তাদের পরের বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হতো,আসতো অন্য নিষেধাজ্ঞাও।
বাধ্য হয়েই তাই ম্যাচের জন্য যুব দলের ফুটবলারদের নিয়ে আসে পিয়াসেনজা। সাতজন ফুটবলার জোগাড় করা গেলেও কোচ কে হবেন? শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, ১৮ বছর বয়সী সিরিগলিয়ানোই হবেন অধিনায়ক ও কোচ।
সাতজন নিয়ে মাঠে নেমে খুব ভালো কিছু করতে পারবে না পিয়াসেনজা, সেটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। ম্যাচের স্কোরলাইনটাও হলো তেমনই, ৯০ মিনিটে ২০ গোল খেয়েছে পিয়াসেনজা! প্রথমার্ধেই গোল হজম করতে হয়েছে ১৬টি। ম্যাচের মাঝপথে অবশ্য আরেকজনকে মাঠে নামায় পিয়াসেনজা, সেও ছিল যুবদলের একজন। যে কুনেয়ো নিজেদের প্রথম ২৪ ম্যাচে করেছিল ১৮ গোল, এই এক ম্যাচে তারা ছাড়িয়ে গেল আগের সব ম্যাচে পাওয়া গোলের সংখ্যাকে!
ম্যাচ খেললেও স্বস্তিতে নেই পিয়াসেনজা। আগামী ১১ মার্চ ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের এক শুনানির মুখোমুখি হবে ক্লাবটি। কেন তারা ফুটবলার ও কোচদের বেতন দিতে পারছে না, সেই জবাবদিহিই করতে হবে তাদের।