• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্সা-লিঁওর ম্যাচে শুধু গোলটাই হলো না

    বার্সা-লিঁওর ম্যাচে শুধু গোলটাই হলো না    

    লা লিগায় আগের অ্যাওয়ে ম্যাচটা বার্সেলোনা জিততে পারেনি বটে, তবে কে ভেবেছিল লিঁওর মাঠে গিয়ে কোনো গোলই পাবে না? ঘরের মাঠে লিঁও যথেষ্ট আগ্রাসী, সেই হিসেবে এই ম্যাচের আগে গোলশুন্য ড্র কজন অনুমান করতেন, সেটা নিয়েও বাজি ধরে ফেলা যায়। কিন্তু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ঠাসা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে গোলটাই শুধু হলো না। লিঁর চেয়ে তাতে বেশি অখুশি হবে বার্সাই।

     

     

    আসলে শুধু গোলটাই হলো না ম্যাচে। লিওনেল মেসি আজ অন্যদিনের মতো অতোটা আততায়ী হতে পারেননি। বক্সের কাছ থেকে যে দুইটি ফ্রিকিক পেয়েছেন, নিজের দিনে তার অন্তত একটি কাজে লাগাতেন। গজ দশেক দূর থেকে যে শট বাইরে মেরেছেন, সেটি  দিনটা তাঁর নয় বলেই। লুইস সুয়ারেজও আরও একবার নিজের ছায়া হয়ে রইলেন, সুযোগ নষ্ট করেছেন একের পর এক। ডেম্বেলের পায়েও নেই জাদু। বার্সা তাই ম্যাচের পরের দিকে অনেকটা সময় দাপটে খেলেও গোল পায়নি। ২০১৭ সালের পর থেকে পর পর দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে এই প্রথম তাই গোল করতে ব্যর্থ হলো বার্সা।

     

    প্রথম সুযোগটা বার্সা পেয়েছিল ৩ মিনিটে, মেসির ফ্রিকিক চলে যায় বার উঁচিয়ে। ৪ মিনিটে আওয়ারের শট ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। তবে নিজেদের সেরা সুযোগ ৯ মিনিটে পায় লিঁও। মার্টিন টেরিয়ের গোলার মতো শট করেছিলেন, কিন্তু তাঁর শট কীভাবে যেন হাত লাগিয়ে দেন টের স্টেগেন। টেরিয়েরকে আরও হতাশ করে তা ফিরে আসে পোস্টে লেগে।

    ১৭ মিনিটে মেসি মিস করেন প্রথমার্ধে বার্সার সহজতম সুযোগ। আলবার পাস থেকে বল পেয়ে তাঁর বাঁ পায়ের দশ বারের মধ্যে নয় বারই চলে যেত জালে। কিন্ত আজ যে তাঁর দিন নয়! মেসিকে হতভম্ব করে শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ১৯ মিনিটে ডেম্বেলেও গোলরক্ষকের গায়ে মেরে আরেকটু হতাশা বাড়ান বার্সার। প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে বুসকেটসের শটটা জালে চলে যাচ্ছিলই। কিন্তু এবারও লিঁও গোলরক্ষক জায়গামতো থাকায় কোনো বিপদ হতে দেননি।

    ৫২ মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল লিঁওই, কিন্তু বক্সের মাথা থেকে মেম্ফিস ডিপাইয়ের নেওয়া শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। তবে এর পরেই গুছিয়ে নেয় বার্সা, একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে।৬৬ মিনিটে কঠিন একটা কোণ থেকে শট নিয়েছিলেন মেসি, কিন্তু দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন লিঁও গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর আরও কঠিন কোণ থেকে বল পোস্টে রাখতে পারলেন না মেসি। ৭০ মিনিটে ১৮ গজ দূর থেকে শট পোস্টে রাখতে পারলেন না সুয়ারেক।  ৭৩ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ একটুর জন্য পারলেন না বলে পা ছোঁয়াতে। ৮৬ মিনিটে মেসির পাস থেকে বক্সের মাথা থেকে বুস্কেটসের শট, এবারও লোপেজ সেটি ঠেকিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত গোলশুন্য ড্রয়েই শেষ হলো ম্যাচ।