টেন্ডুলকার-গাভাস্কার খেলার পক্ষে, হরভজন বলছেন দেশ সবার আগে
পাকিস্তানে বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিসিসিআই আইসিসির কাছে চিঠি পাঠাবে, বোমাটা কালই ফাটিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। তবে বাস্তবতা বলছে, সে সুযোগ সামান্যই। সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার মনে করছেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা কোনোভাবেই না খেলা উচিত হবে না ভারতের। তবে হরভজন সিংয়ের মতো কেউ কেউ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার ঘোর বিরোধী।
পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক খারাপ। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ সেই এক দশক থেকে, তবে আইসিসির আসরে নিয়মিতই খেলেছে। এই তো, কয়েক দিন আগে এশিয়া কাপেও মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এখন এমন অবস্থা, ভারত বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের সঙ্গে না খেলার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
শচীন টেন্ডুলকার তাঁর টুইটে লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি চান ভারত ম্যাচটা খেলুক, ‘বিশ্বকাপে ভারত সব সময়ই পাকিস্তানকে হারিয়েছে। আবারও সময় এসেছে ওদের হারানোর। আমি ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানকে দুই পয়েন্ট দিতে চাইব না কোনোভাবেই। তবে দেশ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেটার পক্ষে থাকব, হৃদয় দিয়েই সেটা সমর্থন করে যাব।’
সুনীল গাভাস্কারের কন্ঠেও অনেকটা একই সুর, ‘বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেললে কী হবে? সেমিফাইনাল বা ফাইনালের কথা আমি বলছি না। কিন্তু কে জিতবে? পাকিস্তান। তারা দুই পয়েন্ট পাবে। অথচ ভারত পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে সব সময় হারিয়েছে। আমরা ওদের হারালে ওদের নকআউটে যাওয়ার পথটা কঠিন করতে পারতাম। কিন্তু উলটো দুই পয়েন্ট দিয়ে দিচ্ছি। আমি জানি, সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে আছে, কিন্তু এই ব্যাপারটা আরেকটু তলিয়ে দেখার সময় এসেছে।’
গাভাস্কার বলছেন, বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানকে বাদ রাখার বাস্তব সম্ভাবনা নেই, ‘বিসিসিআই চেষ্টা করতে পারে, তবে লাভ হবে না। কারণ অন্য দেশগুলোকে রাজি হতে হবে, আমি সেরকম কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না। অন্য সব দেশই বলবে, এটা দুই দেশের মধ্যকার ব্যাপার, এখানে আমাদের জড়ানো ঠিক হবে না।,’
হরভজন সিং অবশ্য এখানে আপোসের কোনো সুযোগ দেখছেন না, ‘কোনোভাবেই পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা খেলা উচিত নয়। ভারত এখন পাকিস্তানের সঙ্গে না খেলেই বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখে। আর একটা ভুলের জন্য আরেকটা ভুল ঠিক হয়ে যায় না। ১৯৯৯ সালে খেলেছি বলে এখন খেলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমাদের সরকার ও সৈনিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশ্বকাপ সবকিছু নয়। দেশ সবার আগে, সৈনিকরা সবার আগে, সরকার সবার আগে। বিশ্বকাপের চেয়ে এই আলোচনা অনেক বড়।’
এখনকার জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অবশ্য সরাসরি কোনো পক্ষ নেননি। চাহাল, কোচ রবি শাস্ত্রীরা বলছেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই তারা মেনে নেবেন।