মাহরেজের গোলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচল সিটি
ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে চাপেই পড়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। বোর্নমাউথ বারবার হতাশ করেই চলছিল পেপ গার্দিওলার দলকে। চাপে ছিলেন রিয়াদ মাহরেজও। এ বছর একাদশে জায়গা পাওয়াই তাঁর জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আগের ম্যাচে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে দরকারের সময় পারলেন। মাহরেজের একমাত্র গোলেই বোর্নমাউথকে হারিয়েছে ম্যান সিটি।
নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে সিটি উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে, লিভারপুলের চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়েছে তারা। তবে একটি ম্যাচও বেশি খেলেছে সিটি। এবার অপেক্ষা লিভারপুলের জন্য। আগামীকাল এভারটনের বিপক্ষে মার্সিসাইড ডার্বিতে ম্যাচ তাদের।
ম্যাচশেষে গার্দিওলা হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন। তাঁর উদযাপনই বলে দিচ্ছিল কতোখানি গুরুত্বপুর্ণ ছিল এই জয়। লম্বা লিগে একই ধারায় পারফর্ম করা যে সহজ কাজ নয় সেটা জানেন তিনিও। জানতেন এই ম্যাচের আগেও। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরও তাই খুব বেশি হতাশ হতে দেখা যায়নি গার্দিওলাকে। নিজেদের কাজটা করলে গোল যে আসবে সেটা যেন জানাই ছিল সিটি ম্যানেজারের।
প্রথমার্ধে অবশ্য সিটির দুশ্চিন্তার কারণ ছিল আলাদা। আক্রমণে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন কেভিন ডি ব্রুইন। কিন্তু বিরতির আগেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার জায়গাতেই নেমেছিলেন মাহরেজ। পরে তিনিই বদলে দিয়েছেন খেলার ভাগ্য।
প্রথম ১৫ মিনিটে ৮৫ শতাংশ বলের দখল ছিল সিটিজেনদের কাছে। তাতে অবশ্য বোর্নমাউথের তেমন কোনো ঝামেলা হচ্ছিল না। নিজেদের অর্ধে থেকেই রক্ষণে বেশ গোছালো ছিল এডি হাউয়ের দল। ৩১ মিনিটে কর্নার থেকে নিকোলাস অটামেন্ডি দারুণ এক ওভারহেড কিক করেছিলেন। সেটা নেটে ঢুকলে মৌসুমের সেরা গোলের দাবিদার হয়ে যেতে পারত। শেষ পর্যন্ত শটটা অবশ্য গেছে ওপর দিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধেও সিটিকে হতাশ করে চলছিল বোর্নমাউথ। গোলটা হয়েছে অগোছালো এক আক্রমণ থেকে। ডেভিড সিলভা বল বাড়িয়েছিলেন ডিবক্সের ডানদিকে। মাহরেজ কোনো সুযোগ না দিয়েই সরাসরি মেরেছেন দূর্বল ডান পা দিয়ে। প্রথম দফার শটটাই কাজে লেগেছে পরে, আর্তুর বরুচ মিস নেয়ারপোস্টে হার মেনেছেন। মাহরেজ আর সিটি ৫৫ মিনিটে পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত সেই গোল।
এরপর সার্জিও আগুয়েরো একবার বারপোস্টের কারণ গোল পাননি। বরুচও অন্তত দুইবার নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে বোর্নমাউথকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন। পুরো ম্যাচে যদিও বোর্নমাউথ বলার মতো কোনো আক্রমণই করতে পারেনি। সিটি ম্যাচ শেষ করেছে ৮০ শতাংশ বলের দখল নিয়ে, ওঁ টার্গেটেও তারা শট নিয়েছিল মোট ৭ বার। অন্যদিকে বোর্নমাউথ একবারও শট নিতে পারেনি সিটির গোলে। তবুও একটা চাপা ভয় তো ছিলই, পা হড়কালেই তো প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা স্বপ্নটাও হাতছাড়া করতে হতে পারত সিটিকে!