• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    হিগুয়াইন-জর্জিনিয়োতে ফুলহামকে হারাল চেলসি

    হিগুয়াইন-জর্জিনিয়োতে ফুলহামকে হারাল চেলসি    

    চেলসির অবস্থা নড়বড়ে বহুদিন ধরেই, আর ফুলহাম অবস্থা টালমাটাল। মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যানেজার বরখাস্ত করে নতুন অন্তবর্তীকালীন ম্যানেজারের চেলসিকে নিজেদের মাঠে আতিথ্য দিয়েছিল ফুলহাম। রেলিগেশন জোনে থাকা এমন পরিস্থিতিতেও  ফুলহাম চেলসির বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত  লড়াইও করেছে। শেষদিকে এক গোল দিয়েও অবশ্য আর সমতায় ফেরায় হয়নি তাদের, অফসাইডের কারণে আরও একটি ম্যাচ হারেই শেষ হয়েছে তাদের। আর ২-১ গোলে জিতে চেলসি ভালোভাবেই টিকিয়ে রেখেছে শীর্ষ চারের স্বপ্ন। 

    প্রথমার্ধেই হয়েছে সবগুলো গোল। ২০ মিনিটে ডানদিক থেকে সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রস প্রথম সুযোগেই শট করে গোলে পরিণত করে চেলসিকে এগিয়ে নেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। চেলসির অবশ্য এরপর খুব বেশিক্ষণ শান্তিতে থাকতে পারেনি। ২৮ মিনিটে একটি কর্নার থেকে কপাল পোড়ে মাউরিসিও সারির দলের। কলাম চেম্বারসকে মার্ক করতে পারেননি চেলসির কেউই, সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ফুলহামকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি।  

    এর মিনিট তিনেক পর এডেন হ্যাজার্ডের পাস ডিবক্সের ঠিক বাইরে খুঁজে পায় জর্জিনিয়োকে। বাঁকানো শটে সেখান থেকেই গোল করেন চেলসির মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে।   

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য চেলসিকে একটা সময় চেপেই ধরেছিল ফুলহাম। তবে চেলসি আর পথ হারায়নি। গোলও পায়নি। তবে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ চারের লড়াইয়ে ভালোমতোই টিকে থাকল চেলসি। 



    কেপা ফিরলেন, হাল ধরলেন 
    এক ম্যাচ সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রেখে আবারও কেপার ওপর ভরসা রেখেছিলেন সারি। ইএফএলের সেই ফাইনালের পর এবারই প্রথম মাঠে নেমেছিলেন চেলসির তরুণ গোলরক্ষক। ওই ঘটনার পর আত্মবিশ্বাসে যে ঘাটতি পড়েনি সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন কেপা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে যখন ফুলহাম সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছিল তখন দুর্দান্ত দুইটি সেভ করে চেলসিকে এগিয়ে রেখেছিলেন তিনিই। বিশেষ করে ৮৮ মিনিটে অ্যালেক্সান্ডার মিট্রোভিচের হেডটা তো ম্যাচ জেতানো সেভই ছিল! 

    ফিটনেসে ঘাটতি হিগুয়াইনের?
    ক্রাচেন কটেজে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন হিগুয়াইন। দুই মিনিটের মধ্যেই প্রথম সুযোগটা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হেডে তখন লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ২০ মিনিটে অবশ্য দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকে নিজের জাত চিনিয়েছেন আরেকবার, তুলে নিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগে নিজের তৃতীয় গোল। প্রথমার্ধের শেষদিকে প্রায় একই ঢংয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটাও পেতে পারতেন। কিত্নু সার্জিও রিকোর দারুণ এক সেভ সেটা হতে দেয়নি। প্রথমার্ধে ভালো খেলেও দ্বিতীয়ার্ধে সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে গেছেন হিগুয়াইন। ইংল্যান্ডে আসার পর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এখনও তাকে পাশ মার্ক দেওয়ার উপায় নেই। সমস্যাটা আসলে কোথায় হচ্ছে? ফিটনেসেই ঘাটতি? নাকি নতুন দলে মানিয়ে নিতে সময় নিচ্ছেন? এই জবাবগুলোর ওপর শেষ পর্যন্ত নির্ভর করতে পারে চেলসির মৌসুম ভাগ্যও। 

    জর্জিনিয়োর মহাগুরুত্বপূর্ণ গোল
    একটা গোল বোধ হয় দরকারই ছিল জর্জিনিয়োর। চেলসিতে এসে ম্যানেজারের মতো সময়ের সঙ্গেই সমর্থকদের সমর্থন হারিয়েছেন তিনিও। বেশ কিছু ম্যাচে চোখে লাগার মতো ভুল করে দলকে ডুবিয়েছেনও। ইতালিতে 'বিশ্বমানের মিডফিল্ডারের' খেতাব পেয়ে ইংল্যান্ডে ধুঁকছেন। কথা উঠেছে দলে তার জায়গা পাওয়া নিয়েও। এমন সময় একটি গোল কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়ার কথা জর্জিনিয়োকে।তার গোলটাই তো তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে চেলসিকে।