লোয়ের জার্মানিতে আর জায়গা হবে না বোয়াটেং, হামেলস, মুলারের
২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তারা। কিন্তু জার্মানির 'নতুন যুগে' তিনজনই জায়গা হারাচ্ছেন জোয়াকিম লো এর দল থেকে। জার্মানি কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, জেরোম বোয়াটেং, ম্যাটস হামেলস ও থমাস মুলারকে আর জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
"আমাদেরকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে হবে, যেটা গত বছরের শেষ থেকে শুরু হয়েছে। জেরোম, ম্যাটস আর মুলাররা এখন থেকে আর জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হবে না। ওদেরকে সামনা সামনি এই ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।"
"ইউরোর বাছাইপর্বের বছরে আমরা একটা পরিষ্কার সংকেত দিতে চাই। জাতীয় দলের তরুণ খেলোয়াড়েরা এখন থেকে দলে পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে এবং উন্নতি করার জন্য যা যা দরকার তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। আমাদেরকে এই দায়িত্বটা এখন নিতে হবে। "- মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপ জয়ী কোচ লো।
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান- আপাতত বায়ার্ন মিউনিখের তিন ফুবটলার এই মন্ত্রকে বেদবাক্য মেনেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। জার্মানির জার্সি গায়ে খুব বেশি আফসোস থাকার কথা নয় কারোই। ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপাটাই তো ছুঁয়ে দেখেছেন তারা। তবে জাতীয় দলের ক্যারিয়ারটা এতো সংক্ষিপ্ত হবে সেটা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি তিনজনের একজনও।
বোয়াটেং আর হামেলসের বয়স ৩০। মুলারের বয়স মাত্র ২৯। তিনজন মিলে মোট ২৪৬ বার জার্মানির হয়ে খেলেছেন। অনূর্ধ্ব-২০ দল থেকে উঠে আসা মুলারের দুর্দান্ত গল্পটাও তাই এখানেই শেষ হচ্ছে। জার্মানির হয়ে ১০০ ম্যাচে ৩৮ গোল করেছিলেন তিনি। আর গত বিশ্বকাপে ভরাডুবির আগ পর্যন্ত বোয়াটেং আর হামেলসই ছিলেন জার্মানির রক্ষণের মূল ভরসা।
চলতি মাসে একটি প্রীতি ম্যাচ আছে জার্মানির, এরপর ইউরোর বাছাইপর্বে জার্মানি খেলতে নামবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে জার্মানদের নতুন যুগের।
এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ে লোয়ের আরেক পুরনো সৈনিক সামি খেদিরাও বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। আর মেসুত ওজিল তো বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নিয়েছিলেন জার্মান ফুটবলে বর্ণবাদের দায় নিয়ে। ২০১৮ বিশ্বকাপে লো সমালোচিত হয়েছিল দল বাছাই নিয়ে। এর আগের বছরই তরুণ একটি দল নিয়েও রাশিয়া থেকে কনফেডারেশনস কাপ জিতে গিয়েছিল জার্মানি।