৮ বছর পর শেষ আটে টটেনহাম
ঘরের মাঠ হলেও, সিগন্যাল ইদুনা পার্কে বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। বুন্দেসলিগায় সময়টা ভালো যাচ্ছে না, চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগেও হার ৩-০ ব্যবধানের। দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্য কিছু করার জোরটাই যেন একটু কমে গিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। তেমন কিছু আর করাও হয়নি তাদের। উলটো পরের লেগেও টটেনহাম হটস্পার জিতেছে ১-০ গোলে। মাউরিসিও পচেত্তিনো তাই প্রথমবারের মতো পেতে যাচ্ছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বাদ। সবশেষ ২০১১ সালে শেষ আটে উঠেছিল টটেনহাম।
প্রথমার্ধটা অবশ্য ওয়েম্বলির মতোই গেছে জার্মানিতে। কিন্তু এবার ডর্টমুন্ড সুযোগ তৈরি করেছিল আরও বেশি। শুরুতেই পাকো আলকাসের একবার উড়িয়ে মেরেছেন বারপোস্টের ওপর দিয়ে। এরপর হুগো লরিসের দুর্দান্ত কিপিংয়ের কাছে হার মেনেছে ডর্টমুন্ড। দলে লরিসের জায়গা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে, এমন পারফরম্যান্সের পর তাদের চুপ মেরেই যাওয়ার কথা।
ডর্টমুন্ড আর গোলের ভেতর প্রথমার্ধে পার্থক্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন টটেনহাম অধিনায়কই। বিরতির আগেই নিশ্চিত তিনটি গোল বাঁচিয়েছেন তিনি দুর্দান্ত সব সেভ করে। শুরু করেছিলেন মার্কো রয়েসের শট সেভ করে। এরপর ৩৪ মিনিটে হুলিয়ান ভেগেলের হেড ঠেকিয়েছেন অসাধারণ এক সেভে। পরে একবার জর্ডান সানচোকেও গোল পেতে দেননি লরিস।
ডর্টমুন্ড চাপে রাখলেও তাই গোলশূন্য প্রথমার্ধ নিয়ে সন্তুষ্টই ছিলেন পচেত্তিনো। বিরতির পর কাজ একেবারেই সহজ হয়ে যায় তার জন্য। পচেত্তিনোর মূল ভরসা হ্যারি কেইনই তাকে স্বস্তি এনে দেন। ৪৯ মিনিটে মুসা সিসোকোর থ্রু বল থেকে টপ কর্নার ফিনিশে 'কিলার' গোলটি করেন কেইন। এরপর ডর্টমুন্ডকে জিততে হলে দিতে হত ৫ গোল। বাকি সময়ে মাথা কুটে মরেও আর কোনো গোলই আদায় করতে পারেনি তারা। দুই লেগ শেষেও তাই ডর্টমুন্ডের পাওয়ার খাতা থেকে গেছে শূন্য। আর টটেনহাম ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে শতভাগ জয় নিয়ে উঠে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে।