ভিএআরের পেনাল্টিতে ক্ষুব্ধ নেইমার
ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেননি। পিএসজি-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচটা অবশ্য ভিআইপি বক্সে বসেই দেখেছেন নেইমার। শেষ মুহূর্তের টানটান উত্তেজনার সময় ডাগআউটে নেমে এসেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত একরাশ হতাশা নিয়েই স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে, অন্তিম মুহূর্তে ভিএআর থেকে পাওয়া পেনাল্টিতেই পিএসজির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে ইউনাইটেড। তবে ভিএআরের সাহায্যে রেফারির দেওয়া ওই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত কিছুতে মানতে পারছেন না নেইমার। ক্ষুব্ধ নেইমার বলছেন, পিএসজি-ইউনাইটেড ম্যাচে মাঠে থাকা চারজন রেফারি ফুটবলের কিছুই বোঝেন না।
৯০ মিনিট পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পিএসজি, কোয়ার্টারে পৌঁছানোও তখন সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে আবার বিতর্কের জন্ম দেয় ভিএআর। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ডিয়েগো দালোর শট ঘুরে উঠে লাফিয়ে ব্লক করেছিলেন প্রেসনেল কিমপেম্বে। প্রথমে রেফারি কর্নারের বাঁশি বাজালেও পরের মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নেন ভিএআরের সাহায্য নেওয়ার। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে কিমবাপ্পের বিরুদ্ধে হ্যান্ডবলের অভিযোগ এনে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেই ইউনাইটেডকে কোয়ার্টারে নিয়ে যান মার্কাস র্যাশফোর্ড।
নেইমারের দাবি, কিমপেম্বে হ্যান্ডবল করেননি, ‘বলটা তাঁর শরীরের পেছনে লেগেছিল, তাহলে সেটা হ্যান্ডবল কীভাবে হয়? খুব বাজে একটা ব্যাপার ঘটেছে। এমন চারজনকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা ফুটবলই বোঝেন না। এটা কোনভাবেই পেনাল্টি হয় না।'
এদিকে পিএসজি কোচ টমাস টুখেলও এমন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না, ‘দালোর শটটা আমি দেখেছি। শট নেওয়ার পর থেকেই এটা ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছিল, নিশ্চিতভাবেই সেটা গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যেত। এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কিছু ব্যাপারে আলোচনা করা উচিত। এটা ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত ছিল। শট যদি ‘অন টার্গেটে’ না থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে এটা পেনাল্টি দেওয়া হলো সেটাই বুঝতে পারছি না।’