হারের জন্য রক্ষণাত্মক কৌশলকেই দুষলেন লেভানডফস্কি
প্রথম লেগে কোনো গোল করতে পারেননি তাঁরা। দ্বিতীয় লেগে পিছিয়ে পড়ার পর লিভারপুলের আত্মঘাতী গোলে সমতা আনে বায়ার্ন মিউনিখ। পরে অবশ্য আরও দুই গোল খেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছে বাভারিয়ানরা। দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নের কেউ একটি গোলও করতে পারেনি। এমন হারের পর বায়ার্ন ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানডফস্কির দাবি, কোচ নিকো কোভাচের অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক কৌশলের কারণেই হেরেছেন তাঁরা।
একদিকে লিভারপুল যখন একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে, তখন বায়ার্ন যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে। পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন লেভানডফস্কিরা, তাতে ম্যাচে সমতাও ফেরে। এরপর লিভারপুল আবার এগিয়ে গেলে কোয়ার্টারে যেতে শেষ বিশ মিনিটে বায়ার্নের দরকার ছিল আরও তিন গোল। গোল তো আসেইনি, লিভারপুল রক্ষণের কোন পরীক্ষাও নিতে পারেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত আরও এক গোল হজম করে ৩-১ গোলে হেরেছে বায়ার্ন।
ক্ষুব্ধ লেভানডফস্কি বলছেন, অতি রক্ষণাত্মক খেলাতেই এমন হার, ‘প্রথম লেগে আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি, গোলও আসেনি। দ্বিতীয় লেগে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। আমরা তো তেমন কোন সুযোগই তৈরি করতে পারিনি! খুব বেশি রক্ষণাত্মক ছিল দল। ঘরের মাঠে যদি এরকম হয় তাহলে সেটা খুবই হতাশাজনক। এর চেয়ে অনেক ভালো খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে, এজন্যই বেশি রাগ লাগছে।’
ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন তো শেষ। জার্মান লিগে ছয় মাস পর শীর্ষে ফিরেছে বায়ার্ন। লিগ শিরোপাটা হাতছাড়া করতে চান না লেভানডফস্কি, ‘পেছনে ফিরে তাকালে আসলে হতাশা ছাড়া কিছুই আসবে না। সামনে লিগ ও কাপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচ আছে। অনেকদিন পর আমরা লিগের শীর্ষে ফিরেছি। শিরোপা জেতার জন্য সবাই প্রাণপণ চেষ্টাই করছে। আশা করি এই টুর্নামেন্টে হতাশ হতে হবে না।’