অপ্রতিরোধ্য ডি মারিয়ায় শিরোপার আরও কাছে পিএসজি
বেশিরভাগ সময়ই নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পে ত্রয়ীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতে হয় তাঁকে। ডি মারিয়া অবশ্য সুযোগ পেলেই দলে নিজের গুরুত্বটা বুঝিয়ে দেন। মার্শেইয়ের বিপক্ষেও দেখা গেল অপ্রতিরোধ্য ডি মারিয়াকেই। তার জোড়া গোল ও দারুণ এক অ্যাসিস্টেই মার্শেইকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে লিগ শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল পিএসজি।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা অবশ্য এসেছিল মার্শেইয়ের মারিও বালোতেল্লির সামনে। দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন আরেওলা। পিএসজি প্রথম সুযোগ পেয়েছে ২৫ মিনিটের মাথায়। দানি আলভেসের বাড়ানো বলে থমাস মুনিয়েরের শট বাঁচিয়ে দেন মানদানদা।
৯ মিনিট পরেই ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মুনিয়ের। ৪৪ মিনিটে ডি মারিয়ার পাসে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন মানদানদা। এক মিনিট পরেই অবশ্য পিএসজিকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পেই। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে ডি মারিয়ার বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে এনে ডান পায়ের শটে মানদানদাকে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরে মার্শেই। ৪৬ মিনিটে লুকাস ওক্যাম্পোসের পাসে বল পেয়েছিলেন ভালের জারমেই। বক্সের ভেতর থেকে তার বাঁ পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি আরেওলা। লিড ফিরে পেতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি পিএসজি। ৫৫ মিনিটে কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে গোল করেন ডি মারিয়া। ফ্রেঞ্চ লিগে এবারের মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করলেন তিনি।
৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে হ্যান্ডবল করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মার্শেই কিপার মানদানদা। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সেই ফ্রি কিকে নিজের দ্বিতীয় গোল পান ডি মারিয়া। তার বাঁ পায়ের বাঁকানো শট জালে জড়িয়েছে বদলি কিপার ইয়োহান পেলেকে বোকা বানিয়ে। এই মৌসুমে লিগে এটি তার নবম গোল।
ডি মারিয়ার মতো ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন এমবাপ্পেও। ৯৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি। এমবাপ্পের ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিয়েছেন পেলে। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পিএসজি। ২৮ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৭৭, এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিলি।