• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইংলিশ স্কোয়াডে ১৪ জন 'অভিবাসী'!

    ইংলিশ স্কোয়াডে ১৪ জন 'অভিবাসী'!    

    ইংল্যান্ডের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে গত বছরখানেক ধরেই সরগরম আন্তর্জাতিক মিডিয়া। 'ব্রেক্সিট' নিয়ে শেষ নেই আলোচনা-সমালোচনার। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র 'ইইউ' ছাড়ার সিদ্ধান্তে অভিবাসী সমস্যাকেই অন্যতম মূল কারণ হিসেবে দেখেছিলেন অনেকে। অভিবাসন নিয়ে সমস্যা থাকলেও সেই 'অভিবাসী'দের নিয়েই যেন দল সাজাচ্ছে 'থ্রি লায়ন্স'রা। গ্যারেথ সাউথগেটের তরুণ স্কোয়াডের ১৪ জনই যে চাইলে খেলতে পারতেন অন্য দেশের হয়ে।

    ওয়েস্ট হাম মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস আয়ারল্যান্ড ছেড়ে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার ঘোষণা জানানোর পর থেকেই ইংলিশদের 'অভিবাসী' ফুটবলারদের নিয়ে কথা চলছে। অন্যরা ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দল হয়ে মূল স্কোয়াডে আসলেও রাইসের ব্যাপারটা ভিন্ন। আইরিশদের হয়ে অভিষেকও হয়েছিল তার। কিন্তু পরে বেছে নিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। ইউরো বাছাইপর্বে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে সাউথগেটের দলের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তার।

     

     

    ইংল্যান্ডে রাইসের অনেক সতীর্থই পারতেন তার মত এক দেশ ছেড়ে অন্য দেশের হয়ে খেলতে। কাইল ওয়াকার, ড্যানি রোজরা খেলতে পারতেন জামাইকার হয়ে। পারতেন রহিম স্টার্লিং-ও, এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই যে জন্মেছেন তিনি। ইংলিশ নয়, আইরিশদের জার্সিতে দেখা যেতে পারত ইংলিশদের বর্তমান অধিনায়ক হ্যারি কেইনও। সাদা জার্সি ছেড়ে আইরিশদের সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে পারতেন ডিফেন্ডার মাইকেল কিনও। আফ্রিকান পরাশক্তি নাইজেরিয়ার হয়ে খেলতে পারতেন দুই মিডফিল্ডার ড্যালে আলি এবং রস বার্কলি।

    স্টার্লিং-এর মত আরেক ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর হয়ে খেলতে পারতেন আরেক তরুণ জেডন সানচো। চেলসির ফরোয়ার্ড ক্যালাম হাডসন-ওদোয় খেলতে পারতেন ঘানার হয়ে। অবশ্য রাইসের মত জাতীয় দল বদলানোর কোনও ঘোষণা দেননি এদের কেউই। সে দিক দিয়েই আপাতত নিশ্চিন্তই থাকতে পারেন সাউথগেট।