রেকর্ড গড়েই লুকাস হার্নান্দেজকে আনল বায়ার্ন
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজকে দলে নিতে চায় বায়ার্ন মিউনিখ, গুঞ্জনটা বাতাসে ভাসছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু অ্যাটলেটিকোর সাথে ট্রান্সফার ফি নিয়ে সমঝোতায়ই আসতে পারছিল না জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। অবশেষে লুকাসকে দলে নেওয়ার দৌড়ে জিতে গেল বায়ার্নই। ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডারকে দলে নিয়েছে তারা। সর্বকালের সবচেয়ে দামী ডিফেন্ডারদের তালিকায় এখন দুই নম্বরে লুকাস।
ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতা দল থেকে আগামী মৌসুমে অবশ্য কেবল লুকাসই আসছেন না বায়ার্নে। গত বছরের শেষদিকে ভিএফবি স্টুটগার্ট থেকে ফ্রেঞ্চ রাইটব্যাক বেনজামিন পাভার্ডকেও দলে নিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। জাতীয় দলের মত ক্লাব ফুটবলেও একসাথে খেলবেন দুই ফুলব্যাক। লুকাসকে দলে আনতে নিজেদের আগের ট্রান্সফার রেকর্ড (কোরেন্তিন তোলিসো, ৪১.৫ মিলিয়ন ইউরো) ভেঙ্গে দিয়েছে বায়ার্ন।
ট্রান্সফারের ফি-এর মত লুকাসের বার্ষিক বেতনটাও আকাশচুম্বী। বায়ার্নে সর্বোচ্চ বেতন পাওয়াদের তালিকায় রবার্ট লেভানডফস্কি (১৭ মিলিয়ন), ম্যানুয়েল নয়্যার, থমাস মুলার এবং জেরোম বোয়াটেং (প্রত্যেকে ১৬ মিলিয়ন) লুকাস আছেন পাঁচ নম্বরে। বাৎসরিক ১৩ মিলিয়ন ইউরো পাবেন তিনি। হাঁটুর ইনজুরির কারণে এই মৌসুমে অ্যাটলেটিকোর হয়ে তেমন খেলতেই পারেননি লুকাস। তবে বায়ার্নে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি, 'আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে আজকের দিনটা স্মরণীয়। বায়ার্ন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব এবং বুন্দেসলিগায় খেলতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বোধ করছি।'
১৯৯৬ সালে ফ্রান্সের মার্শেইয়ে জন্মেছিলেন লুকাস। ২০০৭ সাল থেকে অ্যাটলেটিকোর বয়সভিত্তিক দলগুলোয় খেলে এসেছেন তিনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ডিয়েগো সিমিওনের মূল দলে অভিষেক হয় তার। এখন পর্যন্ত মাদ্রিদের ক্লাবটির হয়ে ১১০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, জিতেছেন ইউরোপা লিগ এবং ইউয়েফা সুপারকাপের শিরোপাও।