"হিগুয়াইন ফ্রান্সের হয়ে খেললে ভালো করতো"
ফ্রান্স না আর্জেন্টিনা? ১৮ বছর বয়সী তরুণ এক স্ট্রাইকারের সামনে তখন দুটি পথই খোলা। জন্মস্থান ফ্রান্স হলেও মাত্র দশ মাস বয়সেই আর্জেন্টাইন বাবার সাথে আর্জেন্টিনাতে চলে গিয়েছিলেন গঞ্জালো হিগুয়াইন। ফুটবলের হাতেখড়িও আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেটে, জানতেন না ফ্রেঞ্চ ভাষাও। এজন্যই হয়ত জাতীয় দল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে কিছুই জিততে না পারা হিগুয়াইন গতকাল অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। সাবেক ফ্রান্স কোচ রেমন্ড ডোমেনেখ বলছেন, হিগুয়াইনের উচিত ছিল ফ্রান্সের হয়ে খেলা।
কোন দেশের হয়ে জাতীয় দলের ক্যারিয়ার শুরু করবেন, সেই ব্যাপারে শুরুতে দ্বিধায় ছিলেন হিগুয়াইন। সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় একটা সময় দুই দেশের প্রস্তাবকেই ফিরিয়ে দিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি আরও কিছু সময় নিয়ে ভাবতে চান। ২০০৬ সালে হিগুয়াইনকে ফ্রান্সের হয়ে খেলার জন্য ফোনও দিয়েছিলেন তখনকার জাতীয় দলের কোচ ডোমেনেখ। হিগুয়াইন তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে আর্জেন্টিনার প্রস্তাবই শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- হিগুয়াইনের শেষটা এমন নাও হতে পারত
আর্জেন্টিনার হয়ে শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল হিগুয়াইনের। ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ধুঁকতে থাকা ডিয়েগো ম্যারাডোনার দলকে উদ্ধার করেছিলেন পেরুর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোল করেই। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০১৫ কোপা আমেরিকার ফাইনালের দুটি মিস নিয়ে তাকে কম সমালোচনা সইতে হয়নি। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে বড় কোন শিরোপা না জিতেই বিদায় বলেছেন ৩১ বছর বয়সী এই চেলসি স্ট্রাইকার।
ফরাসি পত্রিকা লা কুইপকে ডোমেনেখ বলছেন, ফ্রান্সের হয়ে খেললে হয়ত এই অবস্থা হতো না হিগুয়াইনের, ‘জাতীয় দলকে তার অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। শুধু ফ্রান্সের হয়ে খেলতে আসলেই হতো। আমি তো প্রায়ই এটা মজা করে বলতাম। তাকে হয়ত সরাসরি বলা হয়নি, তবে সে নিজেও হয়ত নিজেকে এই প্রশ্নটা করেছে। ফ্রান্সের হয়ে খেলতে রাজি হলে ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মাঝেই তাঁর অভিষেক হয়ে যেত।’
যদি আর্জেন্টিনার জায়গায় সেদিন ফ্রান্সকে বেছে নিতেন হিগুয়াইন, তাহলে হয়ত তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের গল্পতা অন্যরকমও হতে পারত।