• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    জয় দিয়েই 'শুরুটা' হলো সোলশায়ারের

    জয় দিয়েই 'শুরুটা' হলো সোলশায়ারের    

    দুই দিন আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্বটা পেয়েছেন পাকাপাকিভাবে। ওলে গানার সোলশায়ারের নতুন মেয়াদের শুরুটা মন্দ হলো না, ওয়াটফোর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষ চারে থাকার লড়াইয়ে ভালোমতোই রইল ইউনাইটেড।

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে অবশ্য আজকের জয়ে সোলশায়ারের আনন্দের চেয়ে স্বস্তিটাই থাকবে বেশি। ইউনাইটেড একদমই ইউনাইটেডের মতো খেলতে পারেনি, ম্যাচের বেশির ভাগ সময় গোছানো ফুটবলও খেলতে পারেনি সেরকম। বরং প্রতি-আক্রমণেই ছিল বেশি ভয়ংকর। প্রথম গোলটাও এসেছে সেরকম একটা প্রতি আক্রমণ থেকে। ২৬ মিনিটে লুক শ নিজেদের বক্স থেকে বল ছিনিয়ে চলে এসেছিলেন ওপরে। আক্রমণে ব্যস্ত থাকা ওয়াটফোর্ড ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে বাড়ান দারুণ এক থ্রু। সেটা থেকে বল পায়ে ঠাণ্ডা মাথায় জালে জড়িয়ে দিয়েছেন রাশফোর্ড। এবারের লিগে ১০ গোলও হয়ে গেল তাঁর।

    এরপর মার্শিয়াল কর্নার থেকে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন ওয়াটফোর্ড গোলরক্ষক। এরপর ওয়াটফোর্ডও কিছু সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।

    দ্বিতীয়ার্ধেও ইউনাইটেডকে মনে হচ্ছিল ছন্নছাড়া। বদলি হিসেবে হেরেরা ও মাতার বদলে নামেন লিনগার্ড ও পেরেইরা। শেষ পর্যন্ত ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা পেয়ে যায় ইউনাইটেড। এবার পেরেইরার পাস থেকে ওভারল্যাপ করে ওপরে উঠে আসা লিনগার্ড ক্রস করেন। প্রথম বারে না পারলেও হাঁচড়ে পাঁচড়ে ঠিকই বলটা জালে জড়িয়ে দিয়েছেন মার্শিয়াল। লিগে গলের দুই অঙ্ক হলো তাঁরও, ইউনাইটেডের হয়ে এই মৌসুমে অন্তত ১০ গোল করেছেন মার্শিয়াল, রাশফোর্ড ছাড়া লুকাকু ও পগবা। সর্বশেষ ১৯৯৫-৯৬ সালে ইউনাইটেডের হয়ে অন্তত চার জন খেলোয়াড় লিগে অন্তত ১০ গোল করতে পেরেছিলেন।

     

     

    এরপর ওয়াটফোর্ড চেষ্টা করতে থাকে গোল শোধের, নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ দিকে আবদুল্লাহ দুকুরের গোলে ব্যবধানও কমায়। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক, জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন সোলশায়ার।