বায়ার্নকে হটিয়ে আবারও শীর্ষে ডর্টমুন্ড
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হতে বাকি আর কয়েক সেকেন্ড। ম্যাচের ভাগ্যে তখন ড্রই লেখা আছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে নায়ক বনে গেলেন পাকো আলকাসের। বক্সের একটু বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে চোখ ধাঁধানো শটে দলকে এগিয়ে দিলেন তিনি। চার মিনিট পরেই আরেকবার বল জালে জড়িয়ে ডর্টমুন্ডকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। আলকাসেরের জোড়া গোলেই ভলফসবুর্গকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তাঁরা। অন্য ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ড্র করায় আবার বুন্দেসলিগার শীর্ষে ফিরল ডর্টমুন্ড।
ম্যাচের প্রথম সুযোগ এসেছিল ডর্টমুন্ডের সামনেই। ৮ মিনিটে ড্যান অ্যালেক্স জাগাদুর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর এগিয়ে যেতে পারল ভলফসবুর্গও। উলিয়ামের শট ঠেকিয়ে দেন বারকি। ২৮ মিনিটে ওয়েগ্রস্তকেও গোলবঞ্চিত করেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোন সুযোগ পায়নি দুই দলই।
দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ডের হয়ে সেরা সুযোগ পেয়েছিলেন জ্যাডন সানচো। ৬২ মিনিটে তার ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন ক্যাসেলস। দুই মিনিট পর আলকাসেরের শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। ৬৯ ও ৭২ মিনিটে রাফায়েল গুরেরিওকে দুইবার হতাশ করেন ক্যাসেলস।
৯০ মিনিটের মাথায় অবশেষে ভাঙে ডেডলক। বক্সের বাইরে আলকাসেরকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় ডর্টমুন্ড। সেই ফ্রি কিক থেকে ডান পায়ের দারুণ এক শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। চার মিনিট পরেই দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণ থেকে বল বাড়িয়েছিলেন সানচো, সেই বল নিয়ন্ত্রণে এনেই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আলকাসের। এই মৌসুমে পাঁচবার ৯০ মিনিটের পর গোল করেছেন আলকাসের, যা বুন্দেসলিগায় আগে কেউই করতে পারেননি। ২-০ গোলের জয়ের পর ২৭ ম্যাচে ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৬৩।
রাতের অন্য ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ফ্রেইবার্গের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন। তিন মিনিটের মাথায় ফ্রেইবার্গকে এগিয়ে দেন লুকাস হোলার। সেই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তাঁরা। ২২ মিনিটেই বায়ার্নকে ম্যাচে ফেরান রবার্ট লেভানডফস্কি। কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান বায়ার্ন অধিনায়ক।
ম্যাচের বাকিটা সময় অনেক চেষ্টা করেও এগিয়ে যেতে পারেনি বায়ার্ন। বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছেন লেভানডফস্কি। ৫১ মিনিটে তার শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। ৭৮ মিনিটে লেভানডফস্কির দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন ফ্রেইবার্গ কিপার। ৯০ মিনিটে গোলপোস্টের সামনে করা তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে গোরেটজকার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। ২৭ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল তাঁরা।
লিগের বাকি আর নয় ম্যাচ। আগামী সপ্তাহে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড ও বায়ার্ন। সেই ম্যাচটাই হয়ত নির্ধারণ করবে কার হাতে উঠবে এবারের লিগ শিরোপা।