• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    পুরনো রেকর্ড ছুঁয়ে তিনে আর্সেনাল

    পুরনো রেকর্ড ছুঁয়ে তিনে আর্সেনাল    

    দুই মাস আগে তিনে থাকা টটেনহাম হটস্পারের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল আর্সেনাল। শীর্ষ চারই তখন কঠিন মনে হচ্ছিল উনাই এমেরির দলের জন্য। কিন্তু মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধের দারুণ ফর্মটা আরও টেনে নিয়ে গেল আর্সেনাল। নিউক্যাসেলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১০ ম্যাচের রেকর্ড ছুঁয়েছে গানারা। সবশেষ ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে টানা দশ ম্যাচ জিতেছিল নর্থ লন্ডনের ক্লাবটি। পুরনো রেকর্ড ছোঁয়ার রাতে তাই টটেনহাম, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টপকে আর্সেনালও উঠে গেছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। 

    এমিরেটসে এমেরির আক্রমণাত্মক আর্সেনালকেই দেখেছে সমর্থকেরা। দুই অর্ধে দুই গোলে স্বস্তি যেমন পেয়েছে গানাররা, নিউক্যাসেলকে প্রায় পুরো ম্যাচে কোনোরকম সুযোগ না দেওয়া আর্সেনালের শক্তিমত্তার প্রমাণও মিলেছে। অ্যারন রামসের ৩০ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। এর আগেও অবশ্য একবার গোল করেছিলেন রামসে, তখন রেফারির ফাউলের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়েছিল সেটা। পরেরবার আর রামসেকে উদযাপন ছোট করতে হয়নি। ডিবক্সের ভেতর থেকে বাম পায়ের গ্রাউন্ড শটে গোলটি করেছিলেন ওয়েলশম্যান।



    অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেতই ব্যবধানটা দ্বিগুণ করতে পারতেন দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু তার চেষ্টা দারুণ এক স্লাইডিং হেডে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ম্যাট রিচি। প্রথমার্ধে নিউক্যাসেল মাত্র একবার গোলে শট করতে পেরেছিল। সলেমন রন্ডনের সেই শট ফেরাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি বার্নড লেনোকে।

    দ্বিতীয়ার্ধে আরও কোনঠাসা ছিল নিউক্যাসেল।  পিয়ের এমেরিক অবামেয়াং শুরুতে ছিলেন বেঞ্চে। পরে নেমে তিনিও গোলে শট করেছিলেন ভালো জায়গা থেকে, কিন্তু দুভ্রাকা ঠেকিয়ে দেন তখন। ৮৩ মিনিটে আর নিউক্যাসেল গোলরক্ষক দুভ্রাকাও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। অবামেয়াং এর হেড থেকেই শুরু হয় আক্রমণ। এরপর লাকাজেত পেয়েছিলেন বল, গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল ঠেলে দিয়ে গোল করে  জয় নিশ্চিত করেন তিনিই।

     

     

    ৩১ ম্যাচ শেষে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল তাই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার পথে এগিয়ে গেল এক ধাপ। আর উনাই এমেরি প্রথম মৌসুমে এরই মধ্যে গতবার পাওয়া আর্সেনালের মোট পয়েন্ট পেরিয়ে গেলেন।