টানা পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে পিএসজি
ম্যাচের এক ঘণ্টার মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি। প্রথমে সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে পেনাল্টি বক্সের ভেতর কিছু ফুটবলার আগেই ঢুকে পরায় রেফারি তাঁকে আবার শটটি নিতে বলেন। দ্বিতীয় শটে আর বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। সেই আক্ষেপটা নিয়েই হয়ত মাঠ ছাড়তে পারতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ফ্রেঞ্চ কাপের সেমিতে নঁতের বিপক্ষে পিএসজির সহজ জয়ে গোল পেয়েছেন তিনিও। ঘরের মাঠে নঁতেকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
ম্যাচের তখন ৬৩ মিনিট। এর আগে প্রথমার্ধের ২৯ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। থিয়াগো সিলভার হেড বক্সের ভেতর নঁতের পালোইসের হাতে লাগে। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না নঁতে ফুটবলাররা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন আব্দুল মজিদ ওয়ারিস ও ফ্যাবিও।
সেই পেনাল্টি থেকে প্রথম শটে গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। পেনাল্টি নেওয়ার সময় বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকজন ফুটবলার, রেফারি তাই আবার তাঁকে শট নিতে বলেন। পরেরবার এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন টাটারুসানু।
৮৩ মিনিটে আবার পেনাল্টি পায় পিএসজি। এবার ঠিকই ডান পায়ের শটে টাটারুসানুকে বোকা বানিয়েছেন এমবাপ্পে। এই মৌসুমে লিগে এটি তার ২৭তম গোল, পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এমবাপ্পে ৩২ বার বল জালে জড়িয়েছেন।
যোগ করা সময়ে জয়ের ব্যবধান বাড়ান দানি আলভেজ। ভেরাত্তির বাড়ান বলে অনায়াসেই টাটারুসানুকে পরাস্ত করেন তিনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সান্ত্বনাসূচক গোল পেতে পারত নঁতে, মউটুসামির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন কিমপেম্বে।
৩-০ গোলের জয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো লিগ কাপের ফাইনালে উঠল পিএসজি। আগামী ২৮ এপ্রিলের ফাইনালে রেনের মুখোমুখি হবে তাঁরা।