ফিরেই গোল করলেন, কিন্তু রেহাই পেলেন না ইকার্দি
স্বেচ্ছায় সরে গিয়েছিলেন, দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, সমর্থকদের দুয়োও শুনেছিলেন, হারিয়েছেন অধিনায়কত্বও। এরপর অনেক বিতর্কের পর মাউরো ইকার্দি ইন্টার মিলানের হয়ে অনুশীলনে ফিরেছিলেন কয়েক সপ্তাহ আগেই। তবুও লাতসিওর বিপক্ষে ম্যাচে তাঁকে দলেই রাখেননি ম্যানেজার। অবশেষে জেনোয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন গতরাতে। নেমেই গোল করেছেন সাবেক ইন্টার অধিনায়ক। কিন্তু সমর্থকদের কাছ থেকে রেহাই পাননি, দুয়োই শুনেছেন ইকার্দি। জেনোয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ের পর ইন্টার কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি বলছেন, ইকার্দি থেকে আরও বেশি কিছু আশা করেন তিনি।
প্রায় দুই মাস পর ইন্টার স্কোয়াডে ফিরেছিলেন ইকার্দি। লাতসিওর বিপক্ষে তাঁকে ‘শাস্তিস্বরূপ’ মাঠে নামাননি স্পালেত্তি। সেই ম্যাচে হেরে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার কাজটা কঠিন হয়ে পড়েছে ইন্টারের জন্য। জেনোয়ার বিপক্ষে তাই রাগ ভুলে ইকার্দিকে একাদশে রেখেছিলেন স্পালেত্তি।
কোচের এই আস্থার প্রতিদান ভালোভাবেই দিয়েছেন ইকার্দি। ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইন্টারের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। আরেকটি শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসলে জোড়া গোল পেতেন তিনি। ইভান পেরিসিচের গোলেও অ্যাসিস্ট ছিল ইকার্দির। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইন্টার। অন্য দুটি গোল করেছেন রবার্তো গালিয়ার্দিনি।
জেনোয়াকে হারানোর পর সিরি আর পয়েন্ট তালিকায় চারে থাকা মিলানের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে ইন্টার। চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে নেরাজ্জুরিরা। ইকার্দির কাছ থেকে তাই আরও ভালো পারফরম্যান্স আশা করেন স্পালেত্তি, ‘দল দারুণ খেলেছে। ইকার্দির মতো ফুটবলাররা সবসময়ই গোল ও অ্যাসিস্ট করে। তবে পুরো দলকেই ভালো খেলতে হয়। দলই তাঁকে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেয়। ইকার্দি ভালো খেলেছে। তার আরো গোল পাওয়া উচিত ছিল, আরও ভালো খেলার সুযোগও রয়েছে।’
ইকার্দির সাথে সম্পর্কটা একদমই ভালো যাচ্ছে না ইন্টারের। একাদশে ফিরে গোল করলেও সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে তাঁকে। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে ইন্টার ছেড়ে চলে যাওয়ার আহবানও জানানো হয়েছে ইকার্দিকে।