বর্ণবাদী মন্তব্যে খেলা ছাড়ছেন ইংলিশ ফুটবলার!
৭৮ মিনিটে ফাউল করার জন্য লাল কার্ড দেখলেন তিনি। লিনফোর্ড হ্যারিস রেফারির সিদ্ধান্ত মেনেই মাঠ ছাড়ছিলেন। ঠিক ওই মুহূর্তেই গ্যালারি থেকে ভেসে এলো কিছু আপত্তিকর কথা। বর্ণবাদী মন্তব্য শুনে রীতিমত হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ওয়েমেসওল্ডের স্ট্রাইকার হ্যারিস। তার পাশে দাড়িয়ে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে পুরো দল। পরে বাতিল হয় ওয়েমেসওল্ড-কসবি ইউনাইটেডের ফাইনাল। এই ঘটনার পর হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আর কখনো ফুটবলই খেলবেন না!
বুধবার হলমেস ক্লাবে লেস্টারশায়ার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েমেসওল্ড-কসবি। শেষ বাঁশি বাজার ১২ মিনিট আগে লাল কার্ড দেখেন হ্যারি, ওয়েমেসওল্ড তখন ১-০ গোলে পিছিয়ে। সাইডলাইন দিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকরা কিছু আপত্তিকর কথা শুনিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। এই ঘটনার পরেই ওয়েমেসওল্ডের ফুটবলার ও কর্মকর্তারা প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
বর্ণবাদের শিকার হওয়া হ্যারিস ওই ঘটনায় হতবাক, ‘যখন আমি মাঠ ছেড়ে বের হচ্ছি, তখন গ্যালারি থেকে বলা হচ্ছিল, ‘কালো ফুটবলার, সবার খেলাটাই নষ্ট করছে।’ আমি ড্রেসিংরুমে চলে যাই কিছু না বলেই। এরপর বের হয়ে দেখি সবাই ম্যাচ বয়কট করেছে। আমার মনে হয়েছে এটাই ঠিক কাজ হয়েছে। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মকর্তারা কিছুই করতেন না। নিজেদের সমস্যা তাই নিজেদেরই সমাধান করতে হতো। রেফারি ব্যাপারটা না দেখলেও সহকারি রেফারি ঠিকই দেখেছিলেন। মন্তব্য করা দর্শকের পেছনে আমার পরিবারও ছিল। তাদেরই উল্টো মাঠ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে! আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না!’
হ্যারিস বলছেন, এমন ঘটনার পর আর কখনোই ফুটবল খেলতে চান না তিনি, ‘এই অবস্থার মাঝে দিয়ে আর যেতে পারব না আমি। জীবনে কখনোই এমন কিছুর মুখোমুখি হইনি। যখন এসব স্টার্লিং, রোজদের সাথে হয়, তখনও আমার খারাপ লাগে। তারা খেলা চালিয়ে গেলেও আমি আর এটা করতে পারব না। খেলটাকে আমি অনেক ভালোবাসি, তাও আর মাঠে নামা সম্ভব হবে না।’
বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে ম্যাচ বাতিলের এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লেস্টারশায়ার ও রুটল্যান্ড কাউন্টি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে ওয়েমেসওল্ডের সবাই চাইছেন, হ্যারিস যেন নিজের সিদ্ধান্ত বদলান।