সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে থাকবে না ক্রিকেট পিচ!
অস্ট্রেলিয়া তো বটেই, ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ‘আইকনিক’ স্টেডিয়াম ধরা হয় এটিকে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সাথে। সেই সিডনি থেকেই নাকি তুলে ফেলা হবে ক্রিকেট পিচ! অস্ট্রেলিয়ান এ লিগের ম্যাচে এক ফুটবলারের ভয়াবহ ইনজুরির পর অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন দাবি জানিয়েছে, ফুটবলারদের নিরাপত্তার কারণেই ম্যাচের আগে পিচ তুলে ফেলতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
১৮৮২ সাল থেকে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করে আসছে এসসিজি। শুধু ক্রিকেট নয়, সিডনির মাঠে খেলা হয় ফুটবল ও রাগবিও। গতকাল সিডনি এফসি ও মেলবোর্ন ভিক্টরির মাঝে ম্যাচে শুরু থেকেই ফুটবলারদের স্বাভাবিক খেলাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বাধল বড় বিপত্তি। ক্রিকেট পিচের কাছে বল দখলে নিতে গিয়েই বাজেভাবে পড়ে গেলেন মেলবোর্নের টেরি অ্যান্টোনিস। হাঁটুর ব্যথায় কাতর অ্যান্টোনিসকে সাথে সাথেই বদলি করা হয়, নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালেও। কবে এই ইনজুরি কাটিয়ে খেলায় ফিরতে পারবেন, সেটা কেউই বলতে পারছেন না।
অ্যান্টোনিসের ইনজুরির পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল সংস্থা ও ক্লাবগুলো। মেলবোর্নের কোচ কেভিন মাসকাট তো বলেই দিলেন, এরকম স্টেডিয়ামে আর খেলতে আসবে না তার দল, ‘ফুটবলারদের এরকম একটা মাঠে খেলার আমন্ত্রণ জানানো কোনভাবেই মানা যায় না। যেকোনো সময় যে কেউ ভয়াবহ ইনজুরিতে পড়তে পারে। মাঠটা খেলার জন্য ভয়াবহ ছিল, বলও যাচ্ছিল না। ফুটবলাররা দৌড়াতে গিয়েও বিভিন্ন জায়গায় বাধা পাচ্ছিল।’
অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী জন ডিডুলিসা বলছেন, ক্রিকেট মাঠে যদি ফুটবল ম্যাচ হয়, তাহলে পিচ তুলে ফেলতে হবে, ‘সিডনির ম্যাচটা বাতিল না করার কোন কারণই ছিল না। এখন থেকে ক্রিকেট মাঠে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হলে কিছু নিয়ম মানতেই হবে। ক্রিকেট পিচ থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ম্যাচের আগে পিচ অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে। যদি এমনটা না করা হয়, ওই মাঠে ম্যাচ খেলতে যাবে না কেউ। সেটা যদি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডও হয়, তাও ম্যাচ বয়কট করা হবে।’
এমন অবস্থায় সিডনি এফসির পরবর্তী ম্যাচ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে খুব দ্রুতই আলোচনায় বসবে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। ফুটবলারদের নিরাপত্তা না ক্রিকেট পিচ, কোনটাকে বেছে নেবেন তারা?