ইউনাইটেড হারলে দ্বিগুণ খুশি হবেন কুতিনিয়ো
ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় কাটিয়েছেন লিভারপুলে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছিল ফিলিপ কুতিনিয়োদের ‘চিরশত্রু’। দুদিন পরেই বার্সেলোনার হয়ে কুতিনিয়ো আবার মুখোমুখি হবেন ইউনাইটেডের। সাবেক লিভারপুল মিডফিল্ডার বলছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইউনাইটেডকে হারাতে পারলে একটু বেশিই খুশি হবেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় প্রতি মৌসুমেই ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে হতো কুতিনিয়োকে। দুই বছর আগে বার্সাতে চলে আসায় বহুদিন ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে জাননি। লিভারপুলের হয়ে খেলার সময় ইউনাইটেডকে হারিয়ে যে আনন্দ পেতেন, বার্সার হয়ে সেটার দ্বিগুণ পাবেন বলেই বিশ্বাস কুতিনিয়োর, ‘লিভারপুল-ইউনাইটেড দ্বৈরথটা বার্সার ম্যাচে নেই। তাও যদি আমরা ইউনাইটেডকে বিদায় করে দেই, তাহলে সাবেক লিভারপুল ফুটবলার হিসেবে দ্বিগুণ আনন্দ পাবো আমি!’
সাবেক লিভারপুল ফুটবলার হিসেবে লুইস সুয়ারেজ ও কুতিনিয়োকে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দর্শকরা দুয়ো দিতেই পারে। কুতিনিয়ো অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না, ‘সমর্থকদের আচরণে কিছুই যায় আসে না। আমার লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলা। ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ উপলক্ষ। লিভারপুলে থাকার সময় এটা ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছি।’
বার্সা-ইউনাইটেড ম্যাচে লিভারপুল সমর্থকরাও কাতালানদের সমর্থন জানাবে, বিশ্বাস কুতিনিয়োর, ‘আমি জানি লিভারপুল সমর্থকরাও আমাদের পাশে থাকবে। পরের রাউন্ডে হয়ত তাদের সাথেও বার্সার খেলা পড়তে পারে! অ্যানফিল্ডে খেলতে যাওয়া হবে স্বপ্নের মতো। যদিও তখন আমি বার্সার জয়ই চাইবো। লিভারপুলের বিপক্ষে অবশ্য ফাইনালেই খেলতে চাই।’
এই মৌসুমে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে কুতিনিয়ো বল জালে জড়িয়েছেন দশবার। বেশ কয়েকবারই গুঞ্জন উঠেছে, মৌসুম শেষেই হয়ত বার্সা ছাড়তে পারেন। সেই গুজব উড়িয়ে দিয়ে কুতিনিয়ো বলছেন, এই মুহূর্তে বার্সেলোনা ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবছেন না তিনি, ‘বার্সার হয়ে দ্বিতীয় মৌসুমে খেলছি। এখানে আমি শিরোপা জিতেছি, দলে আমার মূল্যও আছে। বার্সা বিশ্বের সেরা ক্লাব। আর কী চাইতে পারি আমি? এই মুহূর্তে এখানেই সব মনোযোগ দিতে চাই। ইংল্যান্ড কিংবা অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।’
আগামী পরশু ওল্ড ট্রাফোর্ডে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে বার্সা-ইউনাইটেড।