জুভেন্টাসকে বসিয়ে রেখে উদযাপন করল স্পাল
জুভেন্টাসের শিরোপা উৎসবটা আরেকটু দেরী করিয়ে দিল স্পাল। ঘরের মাঠে জুভেন্টাসকে হারিয়ে উলটো নিজেরাই মাতল উৎসবে। স্টাডিও পাওলো মাতজাতে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও জেতা হয়নি জুভেন্টাসের। স্পালের কাছে ওল্ড লেডিরা হেরেছে ২-১ গোলে। জেনোয়ার পর মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে জুভেন্টাসকে এবারের লিগে হারাল স্পাল।
টানা অষ্টম স্কুডেট্টো শিরোপাটা তাই আর নতুন রেকর্ড গড়ে জেতা হচ্ছে না মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দলের। বাকি ম্যাচগুলো জিতলে জুভেন্টাসের পয়েন্ট হবে ১০২। সর্বোচ্চ পয়েন্ট গড়ে শিরোপা জেতার নিজেদের পুরনো রেকর্ডটাই সেক্ষেত্রে আরেকবার ছুঁতে পারবে বিয়াঙ্কোনেরিরা। তবে ৬ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাটা এখনও আছে জুভেন্টাসের। নাপোলি আগামীকাল কিয়েভোর সঙ্গে জিততে না পারলে জুভেন্টাসের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে। আপাতত ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা জুভেন্টাসের শিরোপা উদযাপনটা তাই পিছিয়ে গেল একটু।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগের কথা মাথায় রেখে স্পালের বিপক্ষে তরুণ এক দল নামিয়েছিলেন আলেগ্রি। একাদশের গড় বয়স ২৫ বছর ১১৪ দিন। ১৯৯৮ সালের পর সিরি আর কোনো ম্যাচে এটাই জুভেন্টাসের তরুণতম দল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছিলেন বিশ্রামে। তবে একাদশে ফিরেছিলেন পাউলো দিবালা। তাঁর সঙ্গে ময়েসে কিন ছিলেন আক্রমণে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে তিনিই সেই কিনই আরও একবার এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। হোয়াও ক্যান্সেলো ডিবক্সের বাইরে থেকে দিক-নিশানাহীন শট করেছিলেন, ওই শটে কিনের বুদ্ধিদীপ্ত টাচই গোল পাইয়ে দিয়েছিল তাকে। এই নিয়ে ৬ ম্যাচে কিনের গোল দাঁড়াল ৬।
এর আগ পর্যন্ত জুভেন্টাসের আক্রমণ তেমন কোনো ভীতি ছড়াচ্ছিল না স্পালের রক্ষণে। গোলের পরও জুভেন্টাস খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। বিরতির পর কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে স্পালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন কেভিন বোনিফাজি। হার এড়ালেই শিরোপা নিশ্চিত হত জুভেন্টাসের। কিন্তু ৭৪ মিনিটে আরেক গোল হজম করে ম্যাচটা হেরেই বসে তাঁরা। বদলি হান্স নিকোলুসি ভুলটা করেছিলেন। সার্জিও ফ্লোকারি তাকে শাস্তিটাও দিয়েছেন ভালো মতো। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে গোলরক্ষক মাতেয়া পেরিনকে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন ৩৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
জুভেন্টাসের চেয়ে অবশ্য এই জয়টা বেশি দরকারী ছিল স্পালেরই। তবে ড্রটাও তাদের জন্য কম আনন্দের হত না। সেই হিসেবে জয়টা স্পালের উদযাপন করেছে শিরোপার মতোই। রেলিগেশন জোন থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে তারা।