• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    স্টার্লিংয়ের 'প্রতিশোধে' প্যালেসে পা হড়কাল না সিটি

    স্টার্লিংয়ের 'প্রতিশোধে' প্যালেসে পা হড়কাল না সিটি    

    প্রিমিয়ার লিগে শিরোপাপ্রত্যাশীদের হাসি কেড়ে নেওয়ার কাজটা আগেও একবার করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস। ২০১৩-১৪ মৌসুমে এই সেলহার্স্ট পার্কেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও লিভারপুলকে অবিশ্বাস্যভাবে ৩-৩ গোলে রুখে দিয়েছিল তারা। আজ ৮১ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে লুকা মিলিভোয়োভিচের গোলের পর ম্যানচেস্টার সিটিকে হয়তো বছর পাঁচেক আগে লিভারপুলের ভয়ই জেঁকে ধরেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই ফিরতে পেরেছে পেপ গার্দিওলার দল। রহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলে 'ঈগল'দের ৩-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে সিটি।

    পাঁচ বছর আগে প্যালেসের মাঠে লিভারপুলের জার্সিতে নেমেছিলেন স্টার্লিং। তাকে উঠিয়ে নেওয়ার পরই ৩ গোল করে লিভারপুলের নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল প্যালেস। আজও সেলহার্স্টে ছিলেন স্টার্লিং, তবে গায়ে ছিল সিটির আকাশী নীল জার্সি। ২০১৩-১৪ মৌসুমের শোধটাই যেন আজ নিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের শুরু থেকেই স্টার্লিংয়ের গতি, ড্রিবলিং সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল প্যালেসের রক্ষণভাগকে। ১০ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিলেন তিনিই।

    কিন্তু ডেভিড সিলভার পাসে গোলের সামনে থেকেও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। দারুণ ফর্মে থাকা স্টার্লিংয়ের এমন মিসে ডাগআউটে মাথায় হাত গার্দিওলার, মাঠে অবিশ্বাসের শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন সিলভারা। কিন্তু শাপমোচনটা দারুণভাবেই করেছেন স্টার্লিং। পুরো ম্যাচে সিটির সেরা ফুটবলার ছিলেন তিনিই। ১৫ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের ডিফেন্সচেরা পাসে প্যালেস ডিবক্সে বল পেয়ে যান স্টার্লিং। প্যালেস ডিফেন্ডার মার্টিন কেলির প্রেসিংয়ের মাঝেও দুর্দান্ত শটে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।

     

     

    গোলের পর ম্যাচের দখলটা নিজেদের করে নেয় সিটি। বল দখল, গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল সিটিই। প্রথমার্ধের শেষদিকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত তারা। কিন্তু ৪৫ মিনিটে ইলকে গুন্ডোয়ানের ভাসানো পাস গোলের সামনে পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ডি ব্রুইন, সানেদের কেউই। তবে এজন্য খুব একটা ভুগতে হয়নি সিটিকে।

    ৬৩ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে সানের ক্রসে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্টার্লিং। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনি প্যালেস। লিড দ্বিগুণের পর কিছুটা ঢিমেতালেই খেলতে থাকে গার্দিওলার দল। মাঝমাঠে দখল হারান ডি ব্রুইনরা। সুযোটাও কাজে লাগিয়েছে প্যালেস।

     

     

    প্রেসিং ফুটবলে সিটিকে চেপে ধরে তারা। ৮১ মিনিটে গোল করে লিভারপুলের মত সিটিরও সম্ভাবনা পণ্ড করে দেওয়ার আশঙ্কা জাগিয়েছিলেন মিলিভোয়োভিচ। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে সিটিই। ৯০ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে সেই ডি ব্রুইনের পাস থেকেই সিটির জয় নিশ্চিত করেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস।

     

     

    লিগে টানা ৯ জয়ে নিজেদের ভাগ্য এখনও থাকল সিটির হাতেই। সমান ৩৩ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট লিভারপুলের চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছে সিটি। কিছুক্ষণ বাদেই চেলসির বিপক্ষে মাঠে নামছে লিভারপুল, যাদের বিপক্ষে এই অ্যানফিল্ডে হেরেই ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিগশিরোপা ঘরে তোলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল লিভারপুলের। চেলসি কি পারবে পাঁচ বছর আগের ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করতে? নাকি এবার প্রতিশোধ নেবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল?