• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    পাঁচ গোল খেয়ে শিরোপার অপেক্ষা আরও বাড়ল পিএসজির

    পাঁচ গোল খেয়ে শিরোপার অপেক্ষা আরও বাড়ল পিএসজির    

    শিরোপা নিশ্চিত হতে পারত আগের সপ্তাহেই। স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে ড্র করায় অপেক্ষাটা বেড়েছিল পিএসজির। কাল লিলের বিপক্ষে জিতলেই শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠতেন কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। তবে সেটা তো হয়ইনি, উল্টো লিলের কাছে ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে অপেক্ষাটা আরও বাড়ল টমাস টুখেলের দলের।

    শেষ কবে লিগের ম্যাচে চার গোলের ব্যবধানে হেরেছে পিএসজি, সেটা হয়ত অনেকেই মনে করতে পারবেন না। না পারাটাই স্বাভাবিক! শেষবার এমনটা যে হয়েছিল নয় বছর আগে! আর ফ্রেঞ্চ লিগে পিএসজি পাঁচ গোল হজম করেছে, সেটা তো হয়েছিল সেই ২০০০ সালে সেদানের বিপক্ষে!

    গত ছয় মৌসুমে পাঁচবারই লিগ শিরোপা গেছে পিএসজির ঘরে। এবারও মৌসুমের শুরু থেকে অন্যদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল তাঁরা। আট ম্যাচ হাতে রেখেই গত সপ্তাহে শিরোপা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছিল পিএসজির সামনে। স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রতে সেটা হয়নি। কাল লিলের বিপক্ষে ড্র নয়, হেরেছে পিএসজি, সেটাও আবার চার গোলের ব্যবধানে।

    ৭ মিনিটেই থমাস মুনিয়েরের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে যায় পিএসজি। দুই মিনিট পরেই অবশ্য পিএসজিকে ম্যাচে ফেরান হুয়ান বেরনাট। সেই বেরনাটই অবশ্য ৩৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। প্রথমার্ধে ভাগ্য একদমই সহায় হয়নি পিএসজির। এমবাপ্পের দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন থিয়াগো সিলভা ও থমাস মুনিয়ের।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি পিএসজির। উল্টো তাদের জালে আরও চারবার বল জড়িয়েছে লিল। ৫১ মিনিটে নিকোলাস পেপে এগিয়ে দেন লিলকে। ৬৫ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল আসে জনাথন বাম্বার পা থেকে। ৭১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েলের হেডে তিন গোলের লিড নেয় লিল। শেষ বাঁশি বাজার ছয় মিনিট আগে পিএসজির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন জোসে ফন্তে।

    ৫-১ গোলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এই বুধবার নঁতের বিপক্ষে জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে তাদের।