• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    একাদশে সুযোগ পেলেই তবে রোমাঞ্চিত হবেন রাহী

    একাদশে সুযোগ পেলেই তবে রোমাঞ্চিত হবেন রাহী    

    দুপুরে পরিচিত সাংবাদিকদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন খবরটা। এরপর বিসিবি গেট দিয়ে ঢুকতেও পারলেন না, অভিনন্দন আর শুভকামনার পিঠ চাপড়ানো এসে পড়ল আবু জায়েদ রাহীর পিঠে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, তবে বিশ্বকাপের সঙ্গে তো কিছুর তুলনা হয় না। তবে এখনই রোমাঞ্চে ভেসে যাচ্ছেন না রাহী, বলেছেন একাদশে সুযোগ না পেলেই তখন আরও বেশি ভালো লাগা কাজ করবে।

    রাহীর ডাক পাওয়াটাই খানিকটা চমক বলা যায়। নিউজিল্যান্ড সফরেও ওয়ানডে দলে ছিলেন না, টেস্ট দলের জন্যই তাঁকে ভাবা হচ্ছিল বেশি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কতটা কার্যকর হবেন, সেটা নিয়েও ছিল খানিকটা সংশয়। প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সও খুব আহামরি ছিল না, ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট। রাহী নিজেও দলে সুযোগ পেয়ে খানিকটা অবাক, ‘অবশ্য সারপ্রাইজিং ছিলো। আশা করেছিলাম যে ২০ জনের মধ্যে থাকবো। এই মাঠে প্রিমিয়ার লীগের ২টি ম্যাচ খুব ভালো হয়েছে। তখন মনে হয়েছিলো যে ২০ জনের ভেতরে থাকবো। যখন শুনলাম যে ১৫ জনের মধ্যে আছি তখন আরেকটু বেশি সারপ্রাইজ মনে হয়েছে। ’


    যে কারণে দলে মোসাদ্দেক-রাহী


    রাহী অবশ্য জানেন, পঞ্চম পেসার হিসেবে একাদশে সুযোগ পাওয়াটা হবে বেশ কঠিন। সেজন্য লাগাম পরিয়ে রাখছেন নিজের রোমাঞ্চে, ‘আসলে রোমাঞ্চটা এত বেশি না। সেটা হবে যখন সেরা একাদশে ঢুকতে পারবো।’

    আজ সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজুল যেমন বলেছেন, দুই দিকে সুইং করাতে পারার জন্যই সুযোগ মিলেছে রাহীর। সিলেটের এই পেসার নিজেও জানেন তা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছ থেকেও মিলেছে শুভাশীষ, ‘বল সুইং করানোর জন্যই তো আমাকে নেয়া হয়েছে। মাশরাফি ভাই বলেছেন মাঠের ভেতরে যে বল সুইং করানোর চেষ্টা করিস, ভালো জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করিস। আমি আশাবাদি, এখন বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। ’ নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চান সেজন্য, ‘নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ভালো কাজে আসবে। কারণ ওদের সেরা ব্যাটসম্যান যারা ছিলো তাঁরা ভালো বলছিলো। বলেছিলো একটু কষ্ট করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আধিপত্য করতে পারবো। ’

     

     

    ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্য আছে তাঁর। জাতীয় দলের হয়ে না হলেও ২০০৯ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে দুইটি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। রাহীর মনে আছে তা, ‘ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। এরপর প্রায় ১০ বছর হয়ে গিয়েছে। তাই ইংল্যান্ডে খেলার ইচ্ছা অনেক বেশি। ’

    তবে এখনই উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে চান না এখনই। সেই অপেক্ষা মাঠের জন্যই রেখে দিতে চান আবু জায়েদ রাহী!