বার্সেলোনা নিজেদের সেরা রূপটাই দেখিয়েছে: মেসি
প্রথম লেগে ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে জয় নিয়ে ফিরলেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না বার্সেলোনা। বিশেষ করে আগের রাউন্ডে পিএসজির মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেই অবিশ্বাস্য ফিরে আসার গল্পটা নিশ্চয়ই ঘুরপাক খাচ্ছিল কাতালানদের মাথায়। তবে ন্যু ক্যাম্পের দ্বিতীয় লেগে সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে বড় জয় পেয়েছে বার্সাই। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ইউনাইটেডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে তিন বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিতে উঠলো তাঁরা। ম্যাচের নায়ক মেসি বলছেন, বার্সেলোনা তাদের সেরা রূপটাই দেখিয়েছে।
২০১৩ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে গোল পাননি মেসি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথম লেগেও গোলশূন্য ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় লেগে শুরুর দিকে বার্সা রক্ষণভাগকে কিছুটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ইউনাইটেড। এরপর মেসির দুটি গোলেই স্বস্তি ফেরে কাতালান ডাগআউটে। ম্যাচের বাকি সময় ইউনাইটেডকে কোন সুযোগই দেয়নি তাঁরা।
দলের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মেসি, ‘প্রথম ম্যাচ মিনিটে আমরা আসলে কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। প্রথম লেগের ফলাফলটাই এর জন্য দায়ী। এরপর গোল পেয়েছি, দলও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। এটাই আসলে বার্সার সত্যিকারের রূপ।'
আগের মৌসুমে প্রথম লেগে ৪-১ ব্যবধানে জিতেও শেষ পর্যন্ত রোমার কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন মেসিরা। তিন বছর পর সেমিতে ওঠায় দারুণ খুশি মেসি, ‘এতদিন পর সেমিতে উঠে খুব ভালো লাগছে। গতবার রোমাতে দশ মিনিটের ঝড়ে সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই ব্যাপারে আমরা সতর্ক ছিলাম।’
লিভারপুল কিংবা পোর্তো, সেমিতে বার্সার প্রতিপক্ষ হবে এই দুই দলের একটি। যাদের বিপক্ষে ম্যাচটা হোক না কেন, সেমিটা খুব কঠিন হবে বলেই সতর্ক করছেন মেসি, ‘লিভারপুল না পোর্তো, যাদের সাথেই খেলা পড়ুক, সেমিফাইনালে কঠিন লড়াই হবে।’