• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    আফগানিস্তান ভাল করুক, চাওয়া লামিচানের

    আফগানিস্তান ভাল করুক, চাওয়া লামিচানের    

    উদীয়মান ক্রিকেট-জাতিগুলোর জন্য ১০ দলের বিশ্বকাপ দারুণ আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন নেপালের লেগস্পিনার সন্দিপ লামিচানে। বড় দলগুলির বিপক্ষে আফগানিস্তানের মতো দলগুলির ভাল পারফরম্যান্স দেখলেও খুশি হবেন তিনি। 

    ২০০৭ সালে ১৬ দলের বিশ্বকাপের পর ‘বড়’ দলগুলির দ্রুত বিদায় ও ‘একপেশে’ ম্যাচ রুখতে ২০১১ ও ২০১৫ সালে ১৪ দলের পর এবার থেকে ১০ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে আইসিসি। ২০২৩ সালেও থাকবে এই পদ্ধতি, যেখানে একটা নির্দিষ্ট সময়ে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দলের সঙ্গে বাকি ২টি দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে। এবার বাছাইপর্ব পেরিয়ে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। 

    গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েছে নেপাল, যদিও ২০১৬ সাল থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে নেপালের ক্রিকেট গভর্নিং বডির ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে আইসিসির। ২০১৭ সালে আইসিসি আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে দিয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস, তবে বিশ্বকাপের ব্যাপারে তারা অনড়। পূর্ণ সদস্য হয়েও তাই বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না আইরিশদের। 

    আইসিসির এই নীতির প্রতি লামিচানের হতাশা প্রকাশ্যই, “বলতে খারাপ লাগছে, তবে ১০ দলের বিশ্বকাপ আমার মতো অনেক ক্রিকেটারকে আঘাত করবে। আমার মনে হয় ১৪-১৬ দলের বিশ্বকাপ হওয়া উচিৎ।” 

    “চার বছর পরপর বিশ্বকাপ আসে, এটা দলগুলির স্বপ্নপূরণের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। আমরা উদীয়মান একটা জাতি, সুযোগ পেলে দেশের জন্য খেলতে চাইতাম আমরা। ২০২৩ সালেও ১০ দলের হবে এই টুর্নামেন্ট। ৫০ ওভারের ইভেন্টে খেলার চিন্তা করার আগেও অনেক সময় পেরিয়ে যাবে আমাদের।” 

    আপাতত সে সম্ভাবনা নেই, বাছাইপর্ব না পেরুলে আপাতত বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না ১৮ বছর বয়সী লামিচানের। ঘরে বসেই খেলা দেখবেন তিনি, আর আশা করবেন আফগানিস্তানের মতো আন্ডার-ডগ কেউ কোনও অঘটন ঘটায় যাতে, “আমি টিভিতে বিশ্বকাপ দেখব। প্রাপ্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত থাকা কোনও দল বড় কোনও দলের বিপক্ষে ভাল করলে ভাল লাগবে।” 

     

     

    লামিচানে প্রথম নেপালিজ ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলে। গত মৌসুমে ৩ লাখ ১৮ হাজার ইউএস ডলার দিয়ে তাকে কিনেছিল দিল্লী ক্যাপিটালস।